শেখ হাসিনাকে ফের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ব্যবসায়ীরা

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের ধারবাহিকতা বজায় রাখতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামীতে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চান ব্যবসায়ীরা। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ব্যবসায়ী সম্মেলনে’ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি তার বক্তব্যে এ আকাঙ্ক্ষার কথা ব্যক্ত করেন। এ রকম একটি ঘোষণা যে সম্মেলন থেকে আসতে পারে সে ধারণা অবশ্য গত শুক্রবার সংগঠনের সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী নেতাদের কথাবার্তা থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল।

শনিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ী নেতারা।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সব সময় ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার কথা জানিয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগিয়ে রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার ও পণ্য খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবি। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সরকার সবাইকে সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর।’

আজকের বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশকে আরও টেনে নিয়ে যেতে হবে এবং এ দায়িত্ব আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) নিতে হবে। শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটলে মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে এবং বাকি প্রতিবন্ধকতাগুলোও শিগগিরই সমাধান করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘অন্তত আমি বলতে পারি যে আমি হাওয়া ভবনের মতো কোনো খাওয়া ভবন করিনি, যা ব্যবসার জন্য অসুবিধা তৈরি করবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ব্যবসায়ীদের সব সময় সহযোগিতা করবে। আমরা চাই ব্যবসায়ীরা ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এগিয়ে আসুক।’‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষ হবে স্মার্ট নাগরিক, অর্থনীতি হবে স্মার্ট অর্থনীতি, সরকার হবে একটি স্মার্ট সরকার এবং সমাজ হবে স্মার্ট সমাজ। আমরা এভাবেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘শুধু স্বপ্ন দেখাই যথেষ্ট নয়, স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে এবং এই ধরনের মনোভাব থাকা উচিত।’
সম্মেলনকেন্দ্রে উপস্থিত দর্শকদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘শুধু সিনিয়র ব্যবসায়ীই নয়, তরুণ ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারাও এখানে উপস্থিত। আমরা দেশের তরুণ-তরুণীদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করতে চাই, যাতে তারা চাকরি দিতে পারে।’

শেখ হাসিনা জানান, তার সরকার এফডিআই এবং স্থানীয় বেসরকারি বিনিয়োগ উভয়ের জন্য ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করার ওপর সর্বোচ্চ জোর দিয়েছে। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) বেসরকারি খাতকে সহায়তা করার জন্য কাজ করছে এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ব্যবসা সহজীকরণ ও স্বয়ংক্রিয় করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত আমদানি-রপ্তানি লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান এক বছরের পরিবর্তে পাঁচ বছরের নবায়ন সুবিধা চালু করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ট্রেড লাইসেন্স এবং ছাড়পত্র ইস্যুর ক্ষেত্রেও একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিল্প খাত সব সময় বিকশিত হচ্ছে এবং বর্তমানে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সামনে আসছে, যেখানে দক্ষ জনবলের প্রয়োজন হবে। এই দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে আমরা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছি। স্কুল পর্যায় থেকেই আমরা স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কম্পিউটার ল্যাব দিচ্ছি।’

২০২৬ সাল থেকে ‘উন্নয়নশীল জাতি’ হিসেবে দেশের যাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উন্নয়নশীল রাষ্ট্র বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েও অনেক দেশ ইতোমধ্যে পিছু হটেছে। কিন্তু আমরা পিছিয়ে যাইনি, বাংলাদেশ কখনও পিছপা হবে না, বরং আমরা তা বাস্তবায়ন করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশাবাদী যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‌‘আপনারা জানেন আমি ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছি। কিন্তু আজকে আমার এখানে মূল পরিচয় হলো ব্যবসায়ী। আপনারা প্রত্যেক জেলার অ্যাসোসিয়েশন থেকে আসছেন, খুব ভালো লাগছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সাপোর্ট করার জন্য আনেক অনেক ধন্যবাদ।’এফবিসিসিআই সভাপতি জসিমউদ্দিন বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে আসছেন ও আমাদের (ব্যবসায়ীদের) যে অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে, সেটিকে ধরে রাখার জন্য আপনাকে প্রয়োজন। ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সমস্যাগুলো আপনার মাধ্যমে আমরা সমাধান করতে চাই। এ জন্য সব ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তারা সবাই আগামীতে আপনার নেতৃত্বে বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে চায়।’

ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়ে সুদৃষ্টি থাকায় শেখ হাসিনার প্রতি ব্যবসায়ীরা কৃতজ্ঞ এবং তাকে নিয়ে গর্বিত বলেও উল্লেখ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

তিনি বলেন, দেশে ডলার ও জ্বালানি সংকটের মতো ব্যবসা-বাণিজ্যের যেসব সংকট রয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সমাধান হচ্ছে। এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, দেশীয় শিল্পের বিকাশ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিদেশি বিনোয়াগ আকর্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। পরিবর্তনশীল বিশ্ব, অর্থনীতির সঙ্গে আধুনিকতার উৎকর্ষে বদলে যাবে বাংলাদেশ। আমি মনে করি সরকার ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হব। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।

সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ সরকারের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিকল্পনা, যা বাস্তবায়নের জন্য দরকার উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো। আর উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সরবরাহ বাড়াতে হবে। এজন্য সরকারকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

রেলওয়ে খাত সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। আইসিসি সভাপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই করোনার মতো মহামারিতেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ভালো ছিল। সরকারকে কৃষি খাতের আধুনিকায়নে জোর দেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি।

দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান তার বক্তব্যে আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনার সঙ্গে আছি; ব্যবসায়ীরা আছেন। আজীবন আপনার সঙ্গে থাকব। কারণ আপনার বিকল্প শুধু আপনি। আজকে সারা দুনিয়ার চমক শেখ হাসিনা। ইউরোপ, আমেরিকা এবং ভারতসহ সারা দুনিয়াকে শেখ হাসিনা আকৃষ্ট করতে পারেন। তিনি কূটনীতির দিক থেকে দেশকে একটা মধ্যাবস্থায় রেখেছেন। এতে করে আমাদের সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। তার ২০-২৫ বছরের প্রধানমন্ত্রীর অভিজ্ঞতা আরেকজনের অর্জন করতে আরও ২০ বছর লাগবে। সুতরাং আপনার কাছ থেকেই আমাদের সার্বক্ষণিক সেবা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে গেলে এই দেশে একজন মানুষও গরিব থাকবে না। আমাদের ১৭ কোটি মানুষ আমাদের বড় শক্তি। দেশের মানুষকে নিয়ে চীন আজকে বহুদূরে চলে গেছে। আমাদেরও বড় শক্তি আমাদের দেশের মানুষ। আজ ইউরোপ এবং আমেরিকা বাংলাদেশকে তাদের চিন্তাভাবনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিচ্ছে। সম্প্রতি ইউরোপ ও আমেরিকার প্রতিনিধিরা এসে বলে গেছেন, তারা বাংলাদেশে এসেছেন সম্পর্ক জোরদার করতে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার করো বা এটা করো ওটা করোÑ এমন কিছু তারা চাপিয়ে দিয়ে যায়নি। বলেছে, একটি সুন্দর নির্বাচন করো। আমাদের নেত্রীও এটা চান। এ ব্যাপারে কারও কোনো আপত্তি নেই।’

আহমেদ আকবর সোবহান আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার মানে এক-এগারোর সরকার। এই সরকার এলে গত ১৫-২০ বছর ধরে যারা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তাদের আবারও জেলে যেতে হবে। সেই স্বপ্ন যদি কেউ দেখেন; তা প্রতিহত করতে এই ব্যবসায়ীরাই যথেষ্ট। সেই স্বপ্ন দেখে আর লাভ নেই। এই সম্মেলনে অনেকে আছেন যারা এক-এগারোর ষড়যন্ত্রের সরকারের সময় জেলে গিয়েছেন, অত্যাচারিত হয়েছিলেন। আমি সৌভাগ্যবান; সেই সময় আমি দেশে ছিলাম না। কিন্তু আমাদের কর্মচারীদের জেলে যেতে হয়েছিল। আবার তত্ত্বাবধায়কের নামে এক-এগারোর সরকার নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সে সরকার এলে ব্যবসায়ীদের আবার জেলে যেতে হবে।’

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সভাপতি নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, সাড়ে ১৪ বছর আগে (যুক্তরাষ্ট্রে) বারাক ওবামা ক্ষমতায় আসার সময় সেখানে স্লোগান ছিল ‘চেঞ্জ উই নিড’। একই সময়ে গোলার্ধের অন্যপ্রান্তে আমাদের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্লোগান ছিল ‘দিন বদলের সনদ’। দিন এখন বদলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের আপামর জনসাধারণের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা সবকিছু দিয়েছেন। বললেই কি আমরা উনাকে পরিবর্তন করে ফেলব? গত ১৪ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা আগে হয়নি। এখন অনেক প্রজেক্ট অর্ধেক সম্পন্ন হয়ে আছে। সরকার পরিবর্তন হলে সব প্রজেক্ট বন্ধ হবে।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, আবদুল মাতলুব আহমদ, মীর নাসির হোসেন ও কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি মির্জা নুরুল গনি শোভন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) মোহাম্মদ আবুল বাশার, বেসিস সভাপতি রাসেল টি. আহমেদ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ নাসির উদ্দিন, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম, বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল মুক্তাদির, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব-উর রহমান, এফআইসিসিআই সভাপতি নাসের ইজাজ বিজয়, বাংলাদেশ নারী শিল্প ও বণিক সমিতির (বিডব্লিউসিসিআই) সভাপতি সালিমা আহমেদ, জেবিসিসিআই সভাপতি মিউং-হো লি, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ইন্ডিটেক্সের আঞ্চলিক প্রধান জাভিয়ের কার্লোস সান্তোজা ওলসিনা, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান, বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারস অব কমার্স বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.