বাংলাদেশে আসতে পারে জাপানি বিনিয়োগের জোয়ার

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : চলমান মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য জাপানি উৎপাদন কারখানাগুলোকে বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে জাপান সরকার । ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিদেশি বিনিয়োগের জোয়ার আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাপানের উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে সরিয়ে বাংলাদেশে আনার জন্য জাপান সরকার নানাভাবে উৎসাহিত করছে। জাপান এমন সময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কারখানা স্থানান্তরে উৎসাহিত করছে, যখন বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো এক সাক্ষাৎকারে বলেন, চীনে বৈশ্বিক মহামারি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা জরুরি হয়ে ওঠে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা ভালো সুযোগ এনে দিচ্ছে।

ব্লুমবার্গ জানায়, বাংলাদেশে এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৩২ কিলোমিটার দূরবর্তী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায়। এক হাজার একর জমির ওপর স্থাপিত এ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ২০ বিলিয়ন ডলার জাপানি বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ।

একদিকে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে, অন্যদিকে চীনে বেড়েছে মজুরি ব্যয়। এ কারণে বেশ কয়েক বছর ধরেই জাপানি প্রস্তুতকারকরা স্বল্প মজুরি এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে চীন থেকে কিছু ব্যবসা সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতোর মতে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করা জাপানি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে প্রায় ৩০০’তে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের শিল্পাঞ্চল তৈরিতে বিশেষ ঋণ হিসেবে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে জাপান। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরিতে গোটা এশিয়ার মধ্যেই এত বড় সহযোগিতা আর হয়নি বলেও জানান তিনি।

২০২২ সালে চালু হতে যাওয়া আড়াইহাজার শিল্প পার্কে নতুন করে বিনিয়োগ করতে পারে সুজুকি মোটর ও মিৎসুবিশি কর্পোরেশনের মতো জাপানি গাড়ি-নির্মাতারা। বাংলাদেশে বর্তমানে বৃহত্তম জাপানি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রয়েছে জাপান টোব্যাকো এবং হোন্ডা মোটরের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.