ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি
বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ব্যবসায়ে সুযোগসুবিধা বাড়লে উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদনে যেতে হলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। কারণ লোকবল ছাড়া উৎপাদন সম্ভব নয়। এ জন্য ব্যবসায়ীদের জন্য সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে আসতে হবে। এই বাজেট হচ্ছে ব্যবসাবান্ধব। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। তারা ব্যবসা করা মানেই দেশে নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়া। তারা নতুন নতুন উদ্যোগ নিলে কর্মসংস্থান বাড়বে। আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। ভারতসহ অন্য দেশের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে। আমরা ঋণ নেব না, ঋণ দেব। গতকাল শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য শামসুল আলম যুক্ত ছিলেন।
বাজেটে কর ছাড়ের বিষয়ে এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা লক্ষ্য রেখেছি রাজস্ব আইনটিকে সহজ করার। আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যদি আইনটিকে সহজ করতে পারি, ট্যাক্স পেয়ারদের এই কাজে সম্পৃক্ত করতে পারি, তা হলে রেভিনিউ জেনারেশন অনেক
বাড়বে। রেভিনিউ জেনারেশন বাড়াতে পৃথিবীর অনেক দেশ চেষ্টা করেছে। এমনকি আমেরিকায়ও কোনো এক সময় ৭৫ শতাংশ ট্যাক্সের পরিমাণ ছিল, সেটা এখন নেই। বেশি করে ট্যাক্স আদায় করা যায় কিনা, সেটি সবাই চেষ্টা করেছিল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি যদি রেভিনিউয়ের হার আস্তে আস্তে কমাই, তা হলে কালেকশন বাড়বে। যে কর কমালাম, আমরা বিশ্বাস করি ‘উই উইল বি উইনার’। করের হার কমানো হয়েছে, আশা করি রেভিনিউ কালেকশন আরও বাড়বে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ী যারা বলছে ব্যবসায়ীবান্ধব বাজেট করার কথা। ব্যবসায়ী শব্দটি ফ্লেক্সিবল জব, এটাকে ফিক্সড করে রাখা যাবে না। প্রত্যেক সময় মানুষের চাহিদার পরিবর্তন হয়। চাহিদা পূরণে ব্যবসায়ীদেরও পরিবর্তন আসে। তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও পরিবর্তন আসে। সুতরাং এটা কখনো ফিক্স রাখা যাবে না। আমাদের সিচুয়েশন কী ডিমান্ড করে, সারাবিশ্ব কী করছে, তা দেখতে হবে। উন্নত বিশ্ব যদি পিছিয়ে পড়ে, তা হলে আমরা কিন্তু এগোতে পারব না। কারণ উন্নত বিশ্বের মাধ্যমে কিন্তু আমরা সমৃদ্ধ। আজকে মার্কিন ইকোনমি এটাই আমাদের শেখায়, আমরা একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আরও বলেন, ভারতসহ অন্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ঋণ দেওয়ার সময় এসে গেছে। আমরা ঋণ নেব না, ঋণ দেব। অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেটে ২০২১-২২ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ ধরা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতি বেশিদিন থাকবে না। দেশ স্বাভাবিক হলে আবার বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। আমরা প্রবৃদ্ধি অর্জন করে দেখাব। আমরা এর আগে যা বলেছি তাই করেছি, এবারও করে দেখাব।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করব। সারাবিশ্ব যখন নিচের দিকে যাচ্ছে, আমরা যাচ্ছি ওপরের দিকে। আমরা যা বলি তাই করি। আমাদের ডেট টু জিডিপি ৪০-এর নিচে। সময় যত যাচ্ছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে।
অপ্রদর্শিত অর্থ প্রদর্শিত (কালো টাকা সাদা) করার ব্যাপারে বাজেটে স্পষ্টভাবে কোনো নির্দেশনা না থাকার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে। কালো টাকা নিয়ে আমি কখনো কথা বলিনি। বাজেটে আমরা যে প্রিভিশনটি রেখেছিলাম তা হলো অপ্রদর্শিত আয়। কালো টাকা এবং অপ্রদর্শিত আয়ের মধ্যে ব্যাপক ডিফারেন্স। কালো টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়, আর অপ্রদর্শিত টাকাটা সিস্টেমের কারণে সৃষ্টি হয়। ট্যাক্সের টার্গেট করা হয় ৫০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশ। এটা অনেক অন্যায় করা হয়েছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এখানে কোনো এক সময় ছিল সুপার ইনকাম ট্যাক্স, যারা বেশি ইনকাম করবে তাদের আরও বেশি ট্যাক্স দিতে হবে। অথচ উল্টোটা হওয়া উচিত ছিল। বাজেট সার্বজনীন করার চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, ‘যারা সীমিত সম্পদকে এক্সপ্লয়েড করে ম্যাক্সিমাম আয় করবে, তাদের বেশি করে সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল। সেটা না করে যারা বেশি আয় করে তাদের আরও বেশি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এটা ঠিক না। সে জন্য এই বিষয়গুলো দেখে যতটা সম্ভব হয়েছে এই বাজেটে খোলামেলাভাবে সুন্দর ও সহজ করে আরও সার্বজনীন করার চেষ্টা করেছি।
বাজেট ঘাটতি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংক থেকে ৭৬ হাজার কোটি টাকা নেওয়া হলেও এর প্রভাব ব্যাংক খাতে পড়বে না। ব্যাংক খাতে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। গত এক বছরের ব্যবধানে অতিরিক্ত তারল্য বেড়েছে ৯২ দশমিক ৪২ শতাংশ। বিশাল এই তারল্যের একটি বড় অংশ বিলবন্ডে বিনিয়োগ হলেও এখনো ৪০ হাজার কোটি টাকার তারল্য রয়েছে।
আরেক প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমরা বিদেশিদের কাছে ধার নিলেও নিয়মিতভাবে পরিশোধ করছি। ঋণ পরিশোধের রেকর্ডও আমাদের ভালো। আমরা ধার নিয়ে খেয়ে ফেলি না, দেশের জন্য কাজে লাগাই। আপনারা সবাই জানেন- টাকা কোথা থেকে আসে। এটা চিরাচরিত প্রথা। বাজেটের অর্থ হয় অভ্যন্তরীণ খাত অথবা বিদেশ থেকে ধার নিতে হবে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের সুনাম ভালো, ওভারঅল ভালো করেছি।
বাজেটে ঘাটতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ, বাজেটে ঘাটতি হবেই। সবাই একটা অনুমানের জগতে আছি। গত ১০ বছরের বাজেটে ইতিবাচক ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছি। অর্থের কোনো সমস্যা হবে না। কোভিডের মধ্যেও মাথাপিছু আয় ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে ভালো করছি।
টিকার বিষয়ে এক প্রশ্নে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে করোনা ভাইরাসের টিকার জন্য ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয়, অন্য খাত থেকেও টাকা আনা যাবে। বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ যাই থাক, প্রয়োজনে অর্থের জোগান দিতে কোনো ‘সমস্যা হবে না’। এক বছরে সরকার যত মানুষকে টিকা দিতে পারবে, সেই টাকার বরাদ্দ বাজেটে আছে। তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি) ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, ‘গত অর্থবছরের তুলনায় নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩ শতাংশের বেশি। এক বছরে আমরা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে পারব, তার চেয়েও বেশি টাকা বাজেটে রাখা হয়েছে।
আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে যে কেনাকাটা হয় সেটা অনেকটা সাপ্লাইয়ের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে হয়, আমরা সেটা ডিমান্ড সাইডে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন থেকে অ্যাসেসমেন্ট করা হবে, এই মূহূর্তে সারাদেশে যত সরকারি হাসপাতাল আছে সেখানে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি দরকার, সেগুলোর কী অবস্থা এবং গ্যাপ কোথায় আছে; আমরা যদি সেটা বের করতে পারি তাহলে ডিমান্ড সাইড থেকে কেনাকাটার চাহিদা বের করতে পারব।
অর্থসচিব আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাত সম্পর্কিত যে প্রকল্পগুলো আছে; এ প্রকল্পে যারা পরিচালক আছেন তাদের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ও ক্রয়ের ব্যাপারে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আগামী অর্থবছরে একটা ক্রাশ প্রোগ্রাম নিয়ে তাদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে- যেন প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় বিশেষ করে কেনাকাটায় ভালো করতে পারেন। এই দুটো বিষয় আগামী অর্থবছরের শুরুতেই অ্যাড্রেস করব, যাতে তাদের (স্বাস্থ্য খাতের) জন্য যে বরাদ্দ তারা যেন খরচ করতে পারেন।
কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রয়োজনে অন্য খাত থেকেও টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য খাতে দেওয়া যাবে, এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। এ জন্য অর্থেরও ব্যবস্থা করেছি। শুরুর দিকে মাইকিং করেও টিকা দেওয়ার লোক পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে পর্যায়ক্রমে সবাইকেই ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
আরেক প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং উৎপাদন বাড়াতে মাংস আমদানিতে ট্যারিফ বসানো হয়েছে। এটা শুধু মাংস না, প্রতিটি কৃষি খাতকেই উৎসাহিত করতে আমদানির পরিবর্তে উৎপাদনকে প্রাধান্য দিতেই সরকার এটা ভাবছে। আমাদের সম্ভাবনাময় খাত কৃষি। এখন সময় এসেছে আমদানি কমানোর। এখন উৎপাদন করতে চাই। উৎপাদনে দেশি চাহিদা পূরণ করে রপ্তানিতে যাচ্ছি। এ জন্য রপ্তানিতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে আর আমদানিতে ট্যারিফ বসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই-তিন বছর ধরেই পোল্ট্রি খাত অনেক লোকসানে আছে। আবার একটি গাভী থেকে দৈনিক ২০ থেকে ৩০ লিটার পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আমরা চাই উৎপাদন বৃদ্ধি পাক এবং উদ্যোক্তারা আরও সুযোগ পান। এতে আমাদের উৎপাদন বাড়বে, আমদানি কমবে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ।
২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে কৃষি খাতের বরাদ্দ নিয়ে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। এই খাতে দেশি উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে কর সুবিধা প্রদান কৃষি ও খাদ্যনিরাপত্তায় সরকারের অগ্রাধিকারমূলক অবস্থানের প্রতিফলন বলে মন্তব্য তার। ক্রমান্বয়ে কৃষি খাত দেশের বড় একটি রপ্তানি খাতে পরিণত হবে বলেও আশাবাদ জানান। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি উৎপাদনে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষিতে প্রযুক্তিগত দিক থেকে এখন আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি। এখন আমাদের সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে পারলে স্থানীয় বাজারের চাহিদা আমরাই পূরণ করতে পারব। আমরা সবজি, ফলমূলসহ সবকিছুর উৎপাদন বাড়িয়েছি। এখন আমাদের লক্ষ্য, টাটকা ফলমূল ও সবজিসহ কৃষিপণ্যের পাশাপাশি কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রপ্তানি করা। আমরা আমদানি বন্ধ করব, ধীরে ধীরে বিদেশে রপ্তানি করব। শুধু তৈরি পোশাক নয়, কৃষি হবে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বড় একটি খাত।
মন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিক্ষেত্রে আমরা নানা প্রণোদনা দিচ্ছি। কৃষিতে যা প্রয়োজন (বরাদ্দ), তাই পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর বোরোর উৎপাদন বাড়াতে ১ লাখ হেক্টর বাড়তি জমিতে হাইব্রিড ধান উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ৩ লাখ হেক্টর বেশি জমিতে হাইব্রিড ধান আবাদ করা গেছে। এ জন্য বোরোর উৎপাদন বেড়েছে।
এক প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে এখনো ২৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। বিআইডিএস ও বিবিএস এটা নিয়ে কাজ করবে। আমরাও কাজ করব। আমাদের কাজই হচ্ছে দরিদ্র, প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দারিদ্র্য ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে খুঁজে বের করতে হবে। আমরাও সেই মোতাবেক কাজ করছি। যাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা নেই- তাদের বাসস্থান ও ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যাদের জমি নেই তাদের ঘর করে দিচ্ছি, এটা পৃথিবীর কোথাও নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সরকার কোভিডে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। একটা ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ; যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের জন্য। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৫শ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। এসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৬ হাজার। কৃষি খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ছিল, ৩ হাজার ৬৯৬ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। ফল, ফুল, সবজি, পশুপালন ও মৎস্য খাতে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৯০ জন পরিবার উপকৃত হয়েছে। এটার মেয়াদ আছে দ্বিতীয় দফায় ব্যাংকঋণ দিতে পারবে। ব্যাংকিং খাত ৮০ শতাংশ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে। বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন ৭৬ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে করা হয়েছে।