শ্রদ্ধা ভালোবাসায় মানবহিতৈষী ও পরোপকারী’ ‘অনিতা চৌধুরী চিরনিদ্রায় সমাহিত

0

পাবনা প্রতিনিধি : গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হলো মানবহিতৈষী, পরোপকারী ও মহিয়সী নারী ‘অনিতা চৌধুরীকে। তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন স্কয়ার গ্রুপের মাতা হিসেবে। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। পাবনার মাটি মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। গরিব ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। তাকে হারানো পাবনা তথা দেশবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর সহধর্মিণী মিসেস অনিতা চৌধুরীর মৃত্যুতে শোকাহত তার স্বজন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এভাবেই দেখছেন তাকে।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পাবনায় বিন¤্র গভীর শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় চিরনিদ্রায় সমাহিত করা হয় অনিতা চৌধুরীকে। পাবনায় দু’বার প্রার্থণা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে শহরের বৈকন্ঠপুরে এস্ট্রাস খামারবাড়িতে স্যামসন এইচ চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সড়কপথে অনিতা চৌধুরীর মরদেহবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সটি তার জন্মভিটা পাবনার আতাইকুলায় পৌঁছায়। সেখানকার ব্যাপ্টিস্ট চার্চে অনুষ্ঠিত হয় তার প্রথম প্রার্থনা। প্রার্থণা পরিচালনা করেন আতাইকুলা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক শৈলেন বিশ^াস। প্রার্থনা শেষে মায়ের স্মৃতিচারণ করেন ছেলে তপন চৌধুরী।

পরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পাবনা পৌর শহরের বৈকন্ঠপুর এলাকায় এস্ট্রাস খামারবাড়িতে। সেখানে দ্বিতীয় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থণা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট ফেলোশিপ এর সাধারণ সম্পাদক লিয়র পি সরকার। শেষে পারিবারিক কবরস্থানে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

এ সময় অনিতা চৌধুরীর তিন ছেলে স্যামুয়েল এইচ চৌধুরী, তপন চৌধুরী, অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও এক মেয়ে রতœা পাত্র সহ নাতী-নাতনী, আত্মীয়-স্বজন, শুভান্যুধায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনিতা চৌধুরীর কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, ঢাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ।

এদিকে তার মৃত্যুতে জন্মভিটা পাবনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনিতা চৌধুরীর দেবর সমর চৌধুরী ও ভাস্তি সুদিপ্তা চৌধুরী, ভাতিজী জামাই স্যামুয়েল আশিষ বিশ্বাস বলেন, অনিতা চৌধুরী ছিলেন একজন মহিয়সী ও কোমলমতী নারী। সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতেন। পাবনার মাটি মানুষকে নিয়ে ভাবতেন। গরিব ও দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতেন। নিজের প্রার্থনায় দেশ ও মানুষের কল্যাণ কামনা করতেন।

বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট ফেলোশিপ এর সাধারণ সম্পাদক লিয়র পি সরকার বলেন, স্কয়ার গ্রুপের মাতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিসেস অনিতা চৌধুরী। তিনি অসহায় শিশুদের কথা ভাবতেন। তাদের জন্য খাবার পাঠাতেন। তিনি ছিলেন লাখো মানুষের প্রাণশক্তি। অনিতা চৌধুরীর মৃত্যু শুধু পাবনা নয়, বাংলাদেশের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তার শুন্যতা পূরণ হবার নয়।

গত রোববার দুপুরে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অনিতা চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। এর আগে ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি ৮৬ বছর বয়সে মারা যান অনিতা চৌধুরীর স্বামী স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা স্যামসন এইচ চৌধুরী।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.