পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন । হাবিব ক্ষমা না চাইলে মানহানির মামলা!
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য নূরুজ্জামান বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে টেলিভিশন চ্যানেলে বিএনপির বিপুল ভোটে পরাজিত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার সলিমপুরের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, ভোট গ্রহন শেষে শনিবার রাতে চ্যানেল আইয়ের সরাসরি ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে আলোচনার এক পর্যায়ে নবনির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তিপূর্ণ বক্তব্য ও শিষ্টাচার বহির্ভূতভাবে ‘থুতু নিক্ষেপ’ করে ন্যাক্কারজনক আচরণ করেন। তিনি আরো বলেন, নুরুজ্জামান বিশ্বাস এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং তিনবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিশ্বাস সাহেব ত্যাগী, নির্যাতিত ও একজন সৎ নেতা হিসেবে এলাকায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। টিভিতে হাবিবের ধৃষ্ঠতাপূর্ণ আচরণের পর এলাকার আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়ার জন্য কর্মীদের সহিংসতা থেকে বিরত করে শান্তিপূর্ণভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে হাবিবের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ ও সলিমপুরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করছি। বাবলু মালিথা বলেন, ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের জন্য হাবিবকে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য শর্তারোপ করা হলো। হাবিব অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নায়েক (অব:) এম এ কাদের, সহ-সভাপতি নূর তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল বারী, আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম সরদার, আলম মোহাম্মদ, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রাং, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তামিমুল ইসলাম রিংকু প্রমূখ।