পাবনায় গৃহবধুকে হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ

0
পাবনা পতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার চরঘোষপুর এলাকায় চম্পা খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধুকে জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আরজু সরদারের বিরুদ্ধে। রোববার (২৮ মার্চ) বিকালে গুরতর অসুস্থ্য অবস্থায় গৃহবধু চম্পা খাতুনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের বায়া গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে চম্পা খাতুনের সাথে ছয় বছর আগে বিয়ে হয় পাবনা সদরের চরঘোষপুর এলাকার আকমল সরদারের ছেলে রাজমিস্ত্রি আরজু সরদারের সাথে। বিয়ের পরে তাদের ঘরে দুটি সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি ছয় মাস আগে গোপনে চম্পা খাতুনের স্বামী আরজু সরদার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এই নিয়ে তাদের পরিবারের মধ্যে পরিবারিক ঝামেলার সূত্রপাত হয়।
প্রথম স্ত্রী চম্পাকে ছেড়ে দেয়ার কৌশল হিসাবে স্বামী আরজু তাকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। এরই এক পর্যায়ে রবিবার স্বামী আরজু ও তার পরিবারের সদস্যরা এই গৃহবধুকে জোরপূর্বক হারপিক খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশি আত্মীয়স্বজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে গৃহবধু চম্পা খাতুন আশঙ্কাজনক অবস্থার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে গৃহবধূর প্রতিবেশি শান্তা খাতুন বলেন, সবে বরাতের রোজা ছিলাম আমি। বিকালে একটু ঘুমিয়ে ছিলাম। আমার মেয়ে আমাকে ডেকে তুলে বলছে মা ওই বাড়ির চাচি বিষ খাইছে। তারাতারি করে গিয়ে দেখি মাটিতে পরে আছে। পরে সকলে মিলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কি কারনে, কারা কারা ছিলো  কিভাবে হারপিক খাইয়েছে সেটা আমি জানিনা।
চম্পা খাতুনের খালাতো ভাই প্রতিবেশি মোঃ মকবুল হোসেন বলেন, আমার এই বোনের স্বামী তাকে না বলে আরো একটা বিয়ে করেছে। এখন সে ওই নতুন বউ নিয়ে আলাদা থাকে। প্রথম স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর রাখেনা, ভরণ পোষণ ঠিকমত দেয় না। ঘটনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী আমাকে ফোন দিলে আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তাকে তার স্বামী ও শশুড় বাড়ির লোকজন জোর করে বাথরুম পরিস্কার করার হারপকি খাইয়ে হত্যা করা চেষ্টা করেছে। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানিনা। ওই পরিবারের পক্ষ থেকে বা হাসপাতাল থেকে কোন তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়েছি। বিষটি তদন্ত করে দেখার জন্য আমি এখনি হাসপাতালে পুলিশ পাঠাচ্ছি। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে আশা করছি মেয়টি আইনগত সহযোগিতা পাবে।
আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.