আনোয়ারায় প্রশাসন চলে গালে গুরুত্বপূর্ণ বাজারে মানুষের আনাগোনা ছিল আগের চেহারায়
শেখ আবদুল্লাহ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন মানা হচ্ছে না ঠিক মত আনোয়ারা উপজেলায় চলছেঢিলেঢালা লকডাউন। লকডাউনের তৃতীয় দিন শুক্রবার (১৬ই এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে প্রাইভেট কার, রিক্সা, ও কিছুসিএনজিচালিত অটোরিক্সা চলতে দেখা গেছে। রাস্তাঘাটে চলছে হালকা নানা রকম যানবাহন।বাজার ঘাটে আসছে মানুষ, তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য। খোলা রয়েছে কিছু কিছু দোকানপাট।
লকডাউনে প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়া, মুখে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে হাট-বাজারএবং সড়কে মাইকিং করে উপজেলা প্রশাসন ও আনোয়ারা থানার পুলিশ। সরেজমিনে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চাতরী চৌমুহনী, বন্দর কমিউনিটি সেন্টার, আনোয়ারা সদর, বটতলী শাহ্ মোহছেনআউলিয়া রুস্তমহাট, কালাবিবি দিঘির মোড়, তৈলারদ্বীপ সরকার হাটে অন্যান্য দিনের মতো মানুষের আনাগোনা ছিল আগেরমত। সড়কে বড় গাড়ী চলাচল না করলেও সিএনজি অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিত রিক্সা ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল স্বাভাবিকছিল। এছাড়া উপজেলার বড় বড় মার্কেট ও শপিংমল গুলো বন্ধ দেখা যায়। বন্ধ ছিল বিভিন্ন খাবারের দোকানপাটও।
সাধারণ জনগনের সাথে কথা বলে জানা যায়,ঘরে খাবার নায়, সরকার দিয়েছে লকডাউন,কাজ না করলে আমরাখাবোকি,সংসার চলবে কি করে,কাজে বের হতে না পারলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।একাধীক ভ্যান চালকজানান, ভ্যানে থাকা যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছেন, আমরা এখন কি করবো, সরকার লকডাউন দিয়েছে আমরা তো প্যাটে লকডাউন দিতেপারছিনা,প্যাটে তো লকডাউন মানছেনা।সরকার লকডাউন দিয়েছে তাহলে আমাদের ব্যবস্থা কে করবে,আমরা ঘর থেকে বেরহতে পারছি না, এখন আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করুক সরকার, আমাদের ঘরে খাবার দিয়ে যাক, আমরা আর রাস্তায় বের হবো নাবলেও জানান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে মানতে হবেসরকারের নির্দেশনা। নিজে সুস্থ থাকি, সুস্থ রাখি নিজের পরিবারকেও। প্রশাসন সার্বক্ষণিক মাঠে নজরদারী রয়েছে। একই সাথেজনসাধারণকে সরকার নির্দেশিত লকডাউন ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।