গাংনীতে তরমুজ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে তরমুজ ব্যবসায় পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী

0

তৌহিদ উদ দৌলা রেজা : গরমের শুরতেই মৌসুমী ফল হিসেবে বেশ জনপ্রিয় তরমুজ। এবছর লকডাউন ও রমজানে চাহিদা বাড়তে থাকে। সেই সাথে বাড়তে থাকে ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফার লালসা। শুরু থেকেই থেকে এ পর্যন্ত গাংনী বাজারে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তরমুজ বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকিয়ে আসছিলেন। প্রথমদিকে তরমুজের দাম বেশি থাকলেও পাশে কয়েকজন ব্যবসায়ী তরমুজ নিয়ে আসলে মাঝে দাম কমে যায়। কৌশলে ব্যবসায়ারী বাজারে তরমুজের দাম বাড়িয়ে ৩০ টাকা থেকে ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি করেন।

ক্রয় করতে এসে নাভিশ্বাস ফেলতে হয়েছে ক্রেতাদের। বেশ কিছুদিন থেকেই তরমুজ ও শনিবার(২৪এপ্রিল) মাংস ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকাসহ নানা মাধ্যমে উঠে আসে ক্রেতাদের কথা। গাংনী পৌর মেয়র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গত রবিবার কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সাথে এবং দাম ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু দাম কমাতে নারাজ ব্যবসায়ীরা। ৬০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করা হয় তরমুজ। বজার পরিদর্শন শেষে গাংনী পৌর মেয়র ব্যবসায়ীদের প্রতি বিরক্ত হয়ে নিজেই অল্প দামে তরমুজ বিক্রির উদ্যোগ গ্রহন করেন।

তিনি নিজে বগুড়া এলাকায় গিয়ে তরমুজ সংগ্রহ করেন। সোমবার সকাল থেকে গাংনী বাজার বাসষ্ট্যান্ডে ৪০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রির সুচনা করেন। পৌরসভার কর্মচারীর সহায়তায় ৪০ টাকা দরে তরমুজ বিক্রয় শুরু করেন। এসময় তরমুজ ক্রয় করতে ভিড় জমায় বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এসময় তরমুজ ক্রয় করতে আসেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুরাদ আলী। তিনি বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গাংনীতে সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছিলো তরমুজের। গাংনী পৌর মেয়রের এ উদ্যোগ সময় উপযোগী উদ্যোগ ।

এই সুযোগে গাংনী পৌরবাসী ছাড়াও সব মানুষ অল্প মুল্যে তরমুজ খেতে পারবে। তবে তিনি আরো একটু মুল্য কমানোর দাবী করেন। কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহাজুল ইসলাম নিজেও তরমুজ কিনতে গিয়ে উদ্দ্যেগকে সাধুবাদ জানান। এসময় বিভিন্ন এলাকা থেকে আাগত কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে শুধু তরমুজের বাজার নয় গাংনী বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে মেয়র আহম্মেদ আলীর প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে ৩০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করার দাবীও জানান ক্রেতারা।

পৌরসভার কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, পৌরবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে মেয়র সাহেব নিজে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে তরমুজ সংগ্রহ করে তা আজ বাজারজাত করেছেন। পুরো রমজান মাস এ মুল্যে তরমুজ বিক্রি কার্যক্রম আব্যাহত থাকবে। মেয়র আহম্মেদ আলী বলেন, গাংনীতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো সিন্ডিকেট থাকবেনা। তরমুজের পাশাপশি মাংসের বাজারেও পৌরসভার পক্ষ থেকে নজদারী থাকবে। আমরা সকলেই ক্রেতা। আমার পৌরসভার একটি মানুষও ব্যাবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত না হয় সে বিষয়েও দৃড়তা ও সাহসিকতার সাথে কাজ করছি।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.