নকলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম , ফসলি জমির উপর মাটি ফেলায় এলাকাবাসী ক্ষোভ

0

নকলা প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় মৃগী নদী ও ব্রহ্মপুত্র খনন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এশিয়ান ড্রেজার লিঃ নামে যে কোম্পানীটি খননের কাজ হাতে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ৩ গ্রামবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। জানা গেছে, চন্দ্রকোনা পয়েন্ট থেকে নারায়ণখোলা পর্যন্ত মৃগী নদী ও ব্রহ্মপুত্রের অংশ ১৪ কিলোমিটার খননের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় জামালপুর হইতে গত দু বছর আগে দরপত্র আহবান করলে কাজটি বরিশালের এশিয়ান ড্রেজার ও সিলেটের সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ খননের দায়িত্ব পায়। গত অর্থবছরে ১৯-২০ সালে এশিয়ান ড্রেজার খনন শুরু করলে নকলার ক্ষমতাধর কয়েকজন তাদের কাছ থেকে কাজ ছিনিয়ে নিয়ে নামমাত্র খনন করে দুই কোটিটাকার বিল হাতিয়ে নিয়েছেন।

একই জায়গা দিয়ে এবারও খনন শুরু করেছেন এশিয়ান ড্রেজার লিঃ। ১৪ কিলোমিটার খননের জন্য ১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে এক মাস আগে থেকে খননের কাজ শুরু করা হয়। এরই মধ্যে স্থানীয় লোকজন যে যার মতো ছেলু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে নদীর পাড় যত্রতত্র ভেঙে রেখেছে । বুধবার চরমধুয়া নামাপাড়া এশিয়ান ড্রেজারের ৪টি ড্রেজারের মাধ্যমে মাঠ খননের কাজ শুরু করেছে। খননের উদ্দেশ্য নাব্যতা বৃদ্ধি করে মাছ চাষের উপযোগী করা এবং বণ্যার কবল থেকে বাড়ি ঘর আবাদী জমি গাছ পালা রক্ষা করা। অপরিকল্পিত খননের কারণে আরো বেশি ক্ষতি হচ্ছে এলাকাবাসীর। এশিয়ান ড্রেজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী উপরে হবে ৩৫ ফুট, নিচে হবে ২৫ ফুট, গভীরতা হবে ৯ফুট। এ মোতাবেক খননের কার্যক্রম করার কথা। কিন্তু তারা উপরে ২০ ফুট, নিচের স্তরে ১৫ ফুট ও গভীরতা ৫ফুট করেই খননের কাজ শেষ করছেন। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগের অন্ত নেই।

স্টিল ব্রীজের নিকট শতাধিক বাড়ি রয়েছে যেখানে প্রত্যেকটি বাড়িই খননের কারণে নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার হুমকিতে আছে। অপর দিকে চরমধুয়া নামা পাড়া কৃষকের ধান ক্ষেত পাট ক্ষেত এর উপর দিয়েই ড্রেজার দিয়ে ফেলা হচ্ছে মাটি। খোজ নিয়ে জানা গেল, এশিয়ান ড্রেজারের ম্যানেজার রাশেদ খননের দায়িত্বে থাকা মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শেরপুরে আছি সুপারভাইজার কথা বলবে। ৪ ঘন্টা অপেক্ষার পরেও সুপারভাইজার সাংবাদিকের কাছে আসে নি। শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা নূরে আলম সিদ্দিক ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কেটে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ঠিকাদার হিসেবে সাজু চেয়ারম্যান কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে সাজু সাঈদ সিদ্দিকির নিকট জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, আমি এবার কোন ঠিকাদারী কাজে অংশ গ্রহণ করি নাই।

গতবার করেছিলাম তার বিলই এখনও বকেয়া রয়েছে। স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এমন অযাচিত, অপরিকল্পিত কাজের জন্য। কেও কেও খনন কাজ বন্ধ করে দিলেও প্রভাবশালী মহল এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান, নেতা সুপারিশ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারকে খননের আবার অনুমোদন দেয়। নির্বাহী প্রকৌশলী জামালপুর, পানি উন্নয়ন বোর্ড আবু সাইদ এর কার্যালয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিডি২৪ভিউজ কে বলেন, শেরপুরে নালিতাবাড়ী ও নকলায় দুটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সঠিক কাজ না হলে আমরা বিল দিব না। যতটুকু কাজ হয়েছে সে টুকুই বিল করব।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.