গাংনী হাসপাতালের সংস্কারে নিম্নমানের সামগ্রী ॥ এমপির নির্দেশে কাজ বন্ধ

0

তৌহিদ উদ দৌল রেজা : জরুরী প্রয়োজনে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলায় সংস্কার হচ্ছে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। পরিত্যাক্ত ভবনের এই সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের উঠেছে। বুধবার দুপুরে কাজ পরিদর্শন করে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন গাংনী আসনের সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মান হয়েছে। ৫ বছর আগেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে যায়। তবে ২ বছর আগে নতুন ভবনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। তার পরও স্থান সাংকুলান না হওয়ায় করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম ভবনটিতে চলতে থাকে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগ পুরাতন ভবনটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সে অনুযায়ি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে পুরাতন ভবন সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেয় ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ৩১১ টাকা। নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খুলনার দৌলতপুরের রাজীব মোর্টস সংস্কার কাজটি বাস্তবায়ন করছে। কাজ শুরু হয় ২৯ এপ্রিল। কার্যাদেশ অনুযায়ী এ গ্রেডের টাইল্স, ফ্রেশ সিমেন্ট ও ১.৫ এফএম বালু ব্যবহার করতে হবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যাদেশ উপেক্ষা করে সংস্কার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের এসব সামগ্রী। তাছাড়া বালু ও সিমেন্টের সংমিশ্রণ সঠিক মাত্রায় করা হচ্ছে না। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন পরিদর্শন করেন। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য বলেন এমপি। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আহম্মেদ রায়হান শরীফ ও হাসপাতালের অন্যান্যা কর্মকর্তাবৃন্দ। তবে কাজের কাছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এবং স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ উপস্থিত ছিলেন না। ঠিকদারী প্রতিষ্ঠান শ্রমিক দিয়ে ইচ্ছেমত সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদারকির কেউ উপস্থিত না থাকায় নিম্নমানের এসব সামগ্রী ব্যবহার করছে খুব সহজেই।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তদারকিকারী উপ-সহকারি প্রকৌশলী হাসান আল মামুনের মোবাইলে কল দিয়ে অনিয়মের বিষয়টি জানতে চাইলে কাজের প্রাক্কলিত ব্যায়সহ দরপত্রের কোন তথ্য জানা নেই বলে কৌশলে এড়িয়ে যান তিনি। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহাকারি প্রকৌশলী মাহমুদ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে আছি পরে কথা হবে। এদিকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলতে যোগাযোগ করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে অনিয়ম করে আসছে। বালু, টাইলস থেকে শুরু করে প্রায় সব উপকরণ নিম্নমানের। এই কাজে নিম্নমানের সাগ্রমী কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য না। যদি এইভাবে অনিয়ম করায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.