কাপ্তাইয়ে ২৪ঘন্টায় করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ১৪

0

মাহফুজ আলম,কাপ্তাই (রাঙামাটি)ঘন্টায় থেকে : গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী সনাক্ত। ভয়ংকর রুপে করোনার ঊর্ধ্বমুখী রেকর্ড। ১জুলাই থেকে কাপ্তাইয়ে কঠোর লকডাউনে গের ১৩দিনের ব্যাবধানে আজ ১৩জুলাই ২৪ঘন্টায় আক্রান্ত ১৪জনসহ করোনা সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা ৯৩ জনে পৌঁছেছে। প্রতিদিনের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনার সংক্রমণ।ঊর্ধ্বমুখী শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখে মুখে কিছুটা হা-হুতাশ করলেও বেশির ভাগ মানুষের আচরণ ও চলাফেরা সেই আগের মতোই রয়ে গেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মানুষকে রাখতে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনীও সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমুহ যত পদ্ধতিই নিক না কেন, এর কোনোটাতেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষ মনোযোগী হচ্ছে না। অন্য দিকে সরকার প্রজ্ঞাপনে যতটা কঠোর হওয়ার কথা বলেছে, বাস্তবে তার খুব একটা দেখা মিলছে না। অথচ জুলাইয়ে সংক্রমণ বাড়ার পূর্বাভাস মার্চেই দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই পূর্বাভাসই এখন সত্যি হয়ে চোখ রাঙাচ্ছে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির।

এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনের সাত দিন অতিবাহিত হয়ে ১৩ জুলাই বিকেল পর্যন্ত এ ১৩দিনে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল এন্টিজেন ও রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী কাপ্তাই উপজেলায় ১৩ দিনের ব্যাবধানে ৯৩ জনের মধ্যে করোনা প্রজেটিভ পাওয়া গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায় কাপ্তাইয়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টগুলোয় কড়াকড়ি ছাড়া জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক। কাঁচাবাজারে ভিড় অনেকটা আগের মতোই, অলিগলিতেও চলছে আড্ডাবাজি।কাপ্তাই উপজেলার অধিকাংশ স্থানে সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও বিধি-বিধান মানছেনা ফলে এই লকডাউনে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

মানুষ নিজেই নিজেকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সামনে ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের চলাচলে উদ্বেগ প্রকাশ করে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের-আবাসিক চিকিৎসক করোনা ফোকাল পার্সন ডাঃ ওমর ফারুক রনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান কাপ্তাইয়ে চলমান লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করার ঘটনা ঘটছে। এতে করে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.