বড়লেখায় সকলের টিকা নিবন্ধনে এগিয়ে এসেছে ‘দ্যুতি’

0

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসের টিকা নিতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জানেন না, কীভাবে নিবন্ধন করতে হয়। কারণ তাদের অনেকের কাছে নেই স্মার্টফোন। এই কারণে অনেকে টিকা নিতে পারছেন না। ফলে অনেকে করোনাক্রান্ত হচ্ছেন।
তবে তাদের এই ভোগান্তি দূর করতে প্রসংশনীয় এক উদ্যোগ নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্যুতি। এই সংগঠনের সদস্যরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘সুরক্ষা অ্যাপের’ মাধ্যমে বিনামূল্যে নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তারা মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে পরামর্শও দিচ্ছেন।

দ্যুতি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউপি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গত ২৬ জুলাই থেকে তারা এই কার্যক্রম শুরু করেছে।

ইতিমধ্যে তারা তালিমপুর ইউপি পাঁচটি গ্রামের প্রায় ৬০০ মানুষের টিকার নিবন্ধন করে দিয়েছেন। এতে তাদের সহায়তা করছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস। এদিকে ঘরে বসে সহজে টিকার নিবন্ধন করতে পারায় এলাকার লোকজন দ্যুতির সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।

এলাকাবাসী ও দ্যুতি’র সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী মাস থেকে ইউপি পর্যায়েও করোনার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য ইউপি পরিষদে টিকাকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আগে নিবন্ধন করতে হবে। কিন্তু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জানে না, কীভাবে নিবন্ধন করতে হয়। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষের ভোগান্তি দূর করতে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিবন্ধন করার উদ্যোগ নেয় বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউপি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দ্যুতি’র সদস্যরা।

এরপর গত ২৬ জুলাই থেকে তারা নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেন। প্রতিদিন সকালে গ্রামের মানুষের বাড়িতে গিয়ে ‘সুরক্ষা অ্যাপের’ মাধ্যমে তারা বিনামূল্যে টিকার নিবন্ধন করে দিচ্ছেন। এতে তাদের এই কার্যক্রমে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস। এরইমধ্যে তারা তালিমপুর ইউপি পশ্চিম গগড়া, দ্বিতীয়ারদেহী, কোনার গগড়া, চুলারকুড়ি, বড়ময়দান গ্রামের প্রায় ৬০০ মানুষের নিববন্ধন করতে পেরেছেন।

দ্বিতীয়ারদেহী গ্রামের বাসিন্দা আফিয়া বেগম (৪২) বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিতে হলে আগে নিবন্ধন করা লাগে। কিন্তু কীভাবে নিবন্ধন করতে হয় তা আমরা জানতাম না। দ্যুতির সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এসে করোনা টিকার দেওয়ার জন্য ফ্রি নিবন্ধন করে দিয়েছেন। এখন আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারব। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

একই এলাকার বাসিন্দা শিপন আহমদ (২৮) বলেন, লকডাউনের মধ্যে দ্যুতির সদস্যরা আমাদের বাড়িতে এসে ফ্রি নিবন্ধন করে দিয়েছেন। এতে আমরা খুশি। এদের মত করে সকল সচেতন নাগরিক এগিয়ে আশা উচিত তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.