উন্নয়ন কর্মযজ্ঞে বদলে যাচ্ছে খুলনা

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে অর্থনৈতিক কার্যক্রম হবে গতিশীল । খুলনা অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত খুলনা-মোংলা পোর্ট রেল পথ, রামপাল তাপ বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এ দু’টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু চালু হলে খুলনাঞ্চলের দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বদলে যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত ও সহজতর হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্প কারখানা। কর্মসংস্থান হবে বহু মানুষের। কৃষিসহ অন্যান্য সেক্টর আরও বেশি

বিকশিত হবে। অর্থনেতিক কার্যক্রম গতিশীল হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে খুলনা অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০১১ সালের ৫ মার্চ খুলনার খালিশপুরে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের উন্নয়নে খুলনাবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী খুলনা অঞ্চলে ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। একাধিক মেগা প্রকল্পসহ বহু প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। অতীতে উন্নয়নের বহু দাবি নিয়ে খুলনাবাসী রাজপথে মিছিল, মানববন্ধন, অনশন ও স্মারকলিপি প্রদান করত। এখন সেটা দেখা যায় না। বরং একনেকে এ অঞ্চলের কোন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও অভিনন্দন জানানো হয়।

রূপসা-ভৈরব বিধৌত খুলনা মহানগরী। একই সঙ্গে এই নগরী খুলনা জেলা সদর ও বিভাগীয় সদর। এ হিসেবে খুলনা মহানগরী এলাকার গুরুত্ব অপরিসীম। অতীতে খুলনা মহানগরীসহ এ অঞ্চল উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক বঞ্চনার শিকার হয়। বর্তমান সরকার মানুষের দুঃখ, বেদনার অবসান ঘটিয়ে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রামপাল-মোংলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোন সরকার তা করতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তারা সচল মোংলা বন্দরকে অচল করে রাখে। মোংলা ইপিজেডের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেয় খুলনা মহানগরীর শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের নির্মাণ কাজ।

২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর চ্যানেলের ড্রেজিং করে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমণের পথ সুগম করা হয়। এতে বন্দরে জাহাজ আসা যাওয়া ও পণ্য আমদানি রফতানি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। মোংলা বন্দর এখন আর মৃত নয়, একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া মোংলায় ঘষিয়াখালী চ্যানেলসহ বহু খাল খনন করা হয়। এ চ্যানেলটি নৌযান চলাচলের জন্য সচল রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়ে বন্ধ করে দেয়া মোংলা ইপিজেড চালু করেছে শেখ হাসিনার সরকার। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও মোংলা ইপিজেডের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। সেখানে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করেন। কাজ বন্ধ থাকলে তারা আর্থিক সঙ্কটে পড়ত। খুলনার মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারে একটি চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প হচ্ছে রামপাল পাওয়ার প্লান্ট। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও এই প্লান্টের বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলেছে। খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথ হবে এটা ছিল কল্পনার অতীত। সেটাও বাস্তবে রূপদান করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। রূপসা নদীর ওপর রেল সেতুসহ রেলপথ নির্মাণের কাজও এগিয়ে চলেছে। শহীদ শেখ অবু নাসের বিশেষায়িত হাসপালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে হাসপাতালটি চালু করা হয়েছে ।

সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৮২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা এবং একই সঙ্গে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন প্রকল্পে জন্য ৬০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা সরকারের নিকট থেকে বরাদ্দ আনেন। এ দু’টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় এডিপিভুক্ত খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন প্রকল্পে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। এ ছাড়া প্রস্তাবিত জাতীয় এডিপিভুক্ত ‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক বৃহৎ একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। সিটি মেয়র জানান, বর্তমানে বিভিন্ন দাতা সংস্থার ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্প খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান রয়েছে এবং ৪টি প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী খুলনায় আধুনিক রেল স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। খুলনার প্রাচীন রেল স্টেশনের পাশে যশোর রোডের কোল ঘেঁষা রেলওয়ের নিজস্ব প্রায় ৩০ একর জমিতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা সংবলিত খুলনা রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ করা হয়। ভবনটির প্রধান ফটক যশোর রোডের দিকে। বর্তমান সরকারের সময়ে খুলনা মহানগরীর তীব্র পানি সঙ্কট নিরসনে দুই হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এডিবি ও জাইকার আর্থিক সহযোগিতায় খুলনা ওয়াটার সাপ্লাই এ্যান্ড স্যুয়ারেজ অথরিটি (খুলনা ওয়াসা) ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করে। ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জুলাই থেকে পানি সরবরাহ শুরু হয়। খুলনা মহানগরীর শেরে বাংলা রোডে আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে দৃষ্টিনন্দন শিল্পকলা একাডেমি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা জেলা স্টেডিয়াম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, রেঞ্জ ডিআইজি’র দফতর ভবন, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দফতরের ভবন, নার্সিং কলেজ নির্মাণসহ আরও অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রæত খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (খুকৃবি) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চন্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানা এখনও হয়নি। ভাড়া বাড়িতে চলছে সকল কার্যক্রম। বর্তমান সরকার খুলনা অঞ্চলের মানুষের জন্য আরও একটি উপহার দিয়েছে ‘শেখ হাসিনা মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়’। এ সংক্রান্ত আইন পাস হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসের এক প্রজ্ঞাপনে ভিসি নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। তিনি প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। এদিকে বর্তমান সরকারের সময়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবেশসম্মত পার্ক তৈরির নির্দেশনায় সুন্দরবনের আদলে খুলনায় তৈরি করা হচ্ছে শেখ রাসেল ইকোপার্ক। খুলনা জেলা প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে খুলনাসহ এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদন সুবিধা বাড়াতে রূপসা নদীর তীরে ৪৩.৮৬ একর সরকারী খাস জমিতে পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আরিফুজ্জামান বলেন, গত আগস্ট মাস পর্যন্ত সমগ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি হয়েছে ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খুলনা-মোংলা বন্দর রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। মোংলা বন্দরের সঙ্গে খুলনাসহ সমগ্র বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সুগম হবে। কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। বিভিন্ন স্থান থেকে দেশী-বিদেশী পর্যটকরাও সহজে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন। এ ছাড়া খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে দর্শনা জংশন পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইনকে ডবল লাইনে উন্নীতকরণে রেলওয়ের একটি রয়েছে।

খুলনায় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রæত সরকারীভাবে একটি বিভাগীয় শিশু হাসপাতালের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সোনাডাঙ্গা বাসটার্মিনাল সংলগ্ন বাইপাস সড়কের পাশে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়ূরী আবাসিক প্রকল্পের মধ্যবর্তী স্থানে গণপূর্ত বিভাগ-১ খুলনা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ হাসপাতাল ভবনটি হবে ১০তলা বিশিষ্ট এবং মোট বেড সংখ্যা হবে ২শ’। রূপসা সেতু বাইপাস সড়কের পাশে ডুমুরিয়া উপজেলার আসানখালী মৌজায় দুই হাজার বন্দী ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। নতুন এই কারাগারটি নির্মাণ করছে খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-২। খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের (খুলনা শহরাংশ) ময়লাপোতা মোড় থেকে জিরোপয়েন্ট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা চার লেনে উন্নীতকরণ করার কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে খুলনা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথের দৃশ্যপট বদলে যাবে। যানজট নিরসন হবে। দিঘলিয়া (রেলগেট)-আড়ুয়া-গাজীরহাট-তেরখাদা সড়কের ভৈরব নদের ওপর ভৈরব সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। সেতুটির নির্মাণ হলে খুলনা শহরের সঙ্গে দিঘলিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। বেতাগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক উন্নয়নের কাজও চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সড়ক বিভাগ খুলনা-যশোর মহাসড়ক প্রশস্তকরণসহ কার্পেটিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শাহপুর বাজারের নিকটবর্তী স্থানে ইনস্টিটিউট অব লাইভস্টক সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি (আইএলএসটি) হচ্ছে। এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ প্রায় শেষের পথে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ভবন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের প্রাচীন ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ, সিভিল সার্জনের কার্যালয় ভবন নির্মাণ, খুলনা মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মডেল মজজিদ নির্মাণ, পাইকগাছায় কৃষি কলেজ ভবন নির্মাণসহ জেলায় বহু অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। গ্রামীণ জনপদের অনেক সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট উন্নয়ন ও নির্মাণ হয়েছে।

খুলনা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খুলনাসহ এ অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু ও খুলনা- মোংলা রেলপথ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। আমদানি রফতানি পণ্য পরিবহনে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি পরিবহন খরচও কম হবে। এতে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা উৎসাহিত হয়ে এ অঞ্চলে বিনিয়োগ করবেন। ফলে অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বিমান বন্দরের নির্মাণ কাজ অবিলম্বে শুরু করার দাবি জানান। বৃৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ-উজ-জামান এ অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মকাÐে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিমান বন্দরের স্থাপনের জন্য জমি রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় খুলনায় বিমানবন্দর নির্মাণ জরুরী। তিনি বলেন, খুলনা অঞ্চলে পর্যটন শিল্প বিকাশে উজ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.