আওয়ামী লীগ প্রার্থীককে গুলি করে হত্যা চিৎমরম ইউপি নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী

0

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই : দ্বিতীয় ধাপে কাপ্তাই উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নেথোয়াই মার্মা। কিন্তু মনোনয়নপত্র জামা দেওয়ার এক দিনের ব্যাধানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা নেথোয়াই মারমাকে রাতের অন্ধকারে গুলি করে হত্যা করে। এরস্হলে নতুনভাবে মনোনয়ন পেয়েছে ওয়েশ্লিমং চৌধুরী। ওয়েশ্মিমং চৌধুরী চিৎমরম ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি।

মঙ্গলবার ( ২ নভেম্বর ) সকাল ১১ টায় তিনি কাপ্তাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারের নির্বাচন কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছে তিনি। এসময় কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য প্রকৌশলী থোয়াইচিং মারমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি স্বপন বড়ুয়া, যুগ্ম সম্পাদক সুজন তনচংগ্যা ধনা, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন মিলন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক দয়ারাম তনচংগ্যা, চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. সৈয়দ সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম চৌধুরী, চিৎমরম ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি নুরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুর রহমান, চিৎমরম ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শামীম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন জমাদেন।

তর্থ্যে জানা যায় আগামী ১১ নভেম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। কিন্ত গত ১৬ অক্টোবর নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নিজবাড়ী আগারপাড়া গেলে সেখানে রাতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে তিনি নিহত হন । এর পরদিন নির্বাচন কমিশন ১১ নভেম্বর নির্বাচন স্থগিত করে।এবং আগামী ২৮ নভেম্বর চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ঘোষণা করেন।ঘোষণারপর আওয়ামী লীগের পক্ষ হতে নতুনভাবে ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ওয়েশ্মিমং চৌধুরীকে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেয়া হয়। মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র জমা দেবার শেষ সময় থাকায় দলীয় নেতৃবৃন্দ সকলে মিলে এ মনোনয়নপত্র জমা দেয়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.