শীতের সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না

0

মো. হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর : শীতের নতুন সবজি সরবরাহ বাড়লেও দাম তেমন কমছে না,৪০ থেকে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছেন তারা। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর সাপ্তাহিক বাজারে গিয়ে কথা হয় সবজি বিক্রেতা মো.নয়ন খানের সাথে। তিনি বলেন,প্রচুর পরিমানে শীতের সবজি বাজারে আসলেও দাম তেমন কমে নাই,আবহাওয়া ভালো থাকলে কয়েক সপ্তাহ পর কমতে পারে।

তিনি আরও বলেন,প্রতি কেজি সিম ৪০ টাকা,করলা ৬০ টাকা,পটল ৪০ টাকা,বেগুন ৪০ টাকা,শসা ১৫ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা,পেঁপে ১৫-২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা,ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা,ঢেঁড়স ৫০-৫৫ টাকা, টমেটো ১১০ থেকে ১২০ কেজি,পালন শাক ৪০ টাকা, গাজর ১২০টাকা কেজি।

এছাড়া, প্রতি কেজি ফুলকপি ৬০ টাকা, প্রতি কেজি বাঁধাকপি ৪০ টাকা, লেবু ৮-১০ টাকা হালি,কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি, মাঝারি সাইজের কুমড়া ৩০-৩৫, মাঝারি সাইজের লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। একই বাজারের বোরহান উদ্দিন বলেন,আমাদের গৌরীপুর বাজারে এখনো নতুন আলু সরবরাহ হয় নাই, আমরা পুরাতন দেশি আলু ৩০ টাকা, বড় হলেন আলু ২৫ টাকা কেজি বিক্রি করছি। দেশি পেঁয়াজ ৫৫-৬০ টাকা,ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশি রসুন ৫০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১১০থেকে ১২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মাংস বিক্রেতা নয়ম মিয়া বলেন, মাংসের দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে, গরুর মাংস ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস সকালে বিক্রি হয়েছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, টাকা বিক্রি হচ্ছে।

একই বাজারের সোহেল বলেন, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫ টাকা,পাকিস্তানি কক ৩০০ টাকা,লেয়ার ৩০০ টাকা, কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে। এদিকে, হাঁসের ডিমের হালি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা,দেশি মুরগি ৪৫ টাকা,ফার্মের মুরগির ডিম ৩২ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতা মমতাজ মিয়া বলেন রুই ১৮০ টাকা, বড় সিলভার ১৫০ টাকা, গ্রাস কার্প ১৬০ টাকা, শিং ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, কই ১৭০ টাকা, ছোট মৃগেল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১১০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

ওই বাজারের সাধন স্টোরের বিক্রেতা পিয়াস বলেন, খোলা সয়াবিন তেল ১৫৫ টাকা, চিনি ৭৫ টাকা, খোলা আটা ৩২ টাকা, প্যাকেট আটা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।তিনি আরও বলেন,দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮৮ টাকা, বুটের ডাল ৯০ টাকা, অ্যাংকর ৪৫ টাকা, খেসারি ৭০ টাকা, মুগডাল ১৪০ টাকা, মাসকলাই ৯৫ টাকা, ভাঙা মাসকলাই ১২৫ থেকে১৩০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। বাজার করতে আসা বেলী রানী বলেন,সব কিছুর দাম বেশী আমরা যারা নিম্ন আয়ের মানুষ আমাদের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.