চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় মাটির ভাঁড়ে পাখির বাসা

0
চুয়াডাঙ্গা থেকে মোঃ পলাশ উদ্দীন : চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় মাটির ভাঁড়ে পাখির বাসা তৈরির এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা । পাখিদের বাসস্থান নির্মাণে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পর্যায়ক্রমে গাছের ডালে ডালে ১০ হাজার মাটির ভাঁড় বাঁধার কাজ চলছে । এই সমস্ত পাখপাখালিদের খাবারে ব্যবস্থা করবে পৌরসভা । পৌরসভার মেয়রের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে এলাকা বাসি ও পরিবেশবীদরা । ৩৭.৩৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা গঠিত। এই পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ। বিস্তীর্ণ এই পৌরসভার গাছপালায় রয়েছে পাখ-পাখালিদের আনাগোনা। প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি ভালবাসার এক নীলাভুমি । পাখপাখালির এই ভালো বাসার টানেই চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গাছের ডালে ডালে মাটির ভাঁড় তৈরি করে বাঁধার কার্যক্রম শুরু করেছে । গত ৫ সেপ্টেম্বর শহরের ছাগল খামার এলাকায় গাছে ডালে ভাঁড় বাঁধার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী (জিপু) তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ৫ শত মাটির ভাঁড় বেধে দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবকয়টি ওয়ার্ডে গাছের ডালে ১০ হাজার মাটির ভাঁড় বাঁধার পরিকল্পনা রয়েছে । চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার এই উদ্যোগ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তা আছে। আমরা চাচ্ছি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো এই কাজে এগিয়ে আসুক। কেউ যদি তার বাড়ির আশেপাশের গাছে গাছে ভাঁড় বাধতে চাই তাকে আমরা উৎসাহিত করবো । পাখিদের শুধু বসবাসের স্থল হিসাবে গড়ে তুলব না, ভবিষ্যতে তাদের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে । পৌর কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনি বলেন, শহরের বেলগাছি গ্রামকে পাখির গ্রাম হিসাবে ১০ বছর আগে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত এই গ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে পাখিদের অভায়রণ্য করার আন্দোলন শুরু হয়েছে। এবার শুরু করল চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। আমি আশা করি এরফলে এখানে প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটবে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানিফ হোসেন ও ব্যবসায়ী নেতা মাফিজুর রহমান মাফি বলেন, পাখির বসবাস করার জন্য এটা বর্তমানে সমপোযোগী উদ্যোগ । পাখি যেভাবে নিধন হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ থেকে, সেখানে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। পাখি পৃথিবীর একটি আলাদা সৌন্দর্য। সেই সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য যে চেষ্টা চালাচ্ছে তা প্রশংসার দাবি রাখে। পৌর নাগরিক হিসাবে মেয়র সাহেবের কাছে আমরা একটি দাবি রাখব, উনি যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা যেন ধারাবাহিকতার সাথে ধরে রাখতে পারেন। এতে করে আগামীতে এলাকায় পাখির সংখ্যা প্রচুর বৃদ্ধি পাবে।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.