কাপ্তাই হ্রদে আটকে পড়া ২০ পর্যটকদের উদ্ধার করলো পুলিশ

0

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙামাটি) থেকে : রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার হ্রদ, গিরি-ঝর্নাসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ১৪ জুলাই চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে মোঃ রাশেদ সহ একই পরিবারের ২০ (বিশ) জনের একটি পর্যটক দল বেড়াতে আসে। প্রথমে কাপ্তাই অবস্থান করে দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলোতে বেড়ান। পরে পলওয়েল পার্ক অ্যান্ড কটেজ এর অনিন্দ্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে কাপ্তাই হতে পলওয়েল পার্ক অ্যান্ড কটেজ এর উদ্দেশ্যে বিকালে বোটে রওনা করে। কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদের মাঝ পথেই বোটের তেল ফুরিয়ে গেলে লেকের মাঝ খানে বোট বন্ধ হয়ে যায়, এরই মধ্যে কাপ্তাই লেকে উত্তাল ঢেউ, বাতাস আর বৃষ্টি ও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার কারণে অন্ধকার নেমে আসে। বোট চালক ও আটকে পড়া পর্যটকরা নিজেদের উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় ফোনে কল দিয়ে কোন প্রকার সহযোগিতা পায়না।

কাপ্তাই লেকের ঢেউ আর বাতাসে বোট ডুবে যাওয়া অবস্থা । প্রাণের ভয়ে সকল পর্যটকরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। পর্যটকদের অনেকে পাশ দিয়ে যাওয়া ইঞ্জিন চালিত বোটদের কান্নাকাটি করে বলতেছে ভাই আমাদের না বাঁচান, শুধু আমাদের বাচ্চা গুলোকে নিয়ে যান, কিন্তু পর্যটকদের অনুরোধে কেউ সাঁড়া দেয়নি। এদিকে অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় পর্যটকদের মনে ভয় ও আতঙ্ক দেখা দেয়। এরূপ নানাবিদ চিন্তা থেকে উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পর্যটক দল। উপায়ন্তর না দেখে অবশেষে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে কল দেয় আটকে পড়া পর্যটক মোঃ রাশেদ।

পর্যটকের কল পেয়ে পুলিশ কন্ট্রোল রুম দ্রুত বিষয়টি রাঙ্গামাটি জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মীর মোদ্‌দাছ্ছের হোসেনকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) জনাব মাহমুদা বেগম এর সার্বিক তত্ত্ববধানে ঘটনাস্থলের কাছে রাঙ্গামাটি জেলার চৌকস পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযানে নেমে পড়ে। পর্যটকরা সঠিক লোকেশন দিতে না পারায় কাপ্তাই হ্রদে অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে পর্যটকদের পেদা টিং টিং এলাকা থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের সন্ধান পায়।পর্যটকরা পুলিশ সদস্যদের এ সহমর্মিতা দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে।

পর্যটকদের মানসিক প্রশান্তি এনে সন্ধ্যা ০৭.০০ ঘটিকার সময় রাঙামাটি পলওয়েল পার্কে পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পলওয়েল পার্কে পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে পর্যটকরা এসে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। এসময় বাংলাদেশ পুলিশ ও রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিপদ থেকে উদ্ধা হওয়া পর্যটকরা।

 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.