পাবিপ্রবিতে জেলহত্যা দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার যথাযথ মর্যাদায় জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় প্রশাসনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’-এ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
আরও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ইইসিই বিভাগ, রসায়ন বিভাগ, ইংরেজি বিভাগ, ইতিহাস ও বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগ, পদার্থ বিজ্ঞান সমিতি, লোকপ্রশাসন সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, রোভার স্কাউট গ্রুপসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন জেলহত্যা দিবসে বলেন, “জাতীয় বীরদের আমাদের অন্তর থেকে স্মরণ করতে হবে। এই চার নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালনা এবং যুদ্ধকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তাঁরা অকুতোভয় ও সাহসী নেতা ছিলেন। এই হত্যাকান্ড ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবার হত্যাকান্ডেরই প্রতিফলন ছিল। হত্যার মাধমে হত্যাকারীরা বিজয় অর্জন করতে চেয়েছিল কিন্তু তা সফল হয়নি। বাঙালির হৃদয়ে তাঁরা চিরকাল বেঁচে থাকবেন।”
তিনি আরও বলেন, “তাঁদের নেতৃত্ব এবং দেখানো পথকে আমাদের অনুসরণ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) এ আমরা অনেক এগিয়েছি। প্রতিটি সেক্টরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা উত্তরোত্তর ভালো করছি। তাঁদেরকে স্মরণে রেখে, সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে হবে।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, একটি জাতির বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে চার নেতা অবদান রাখেন। জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে দেশে বিভাজন তৈরি করা হয়। এই বিভাজন মুছে ফেলার জন্য আমাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একসাথে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে হবে। কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দীন বলেন, আজকের দিনটি বাঙালির জন্য কলঙ্কময় ও বিভীষিকাময় দিন। ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তিই এই হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। চার নেতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে চেয়েছিল কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর মো. কামাল হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহাসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। মোনাজাতের মাধ্যমে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।