মহেশখালীর পর চলতি মাসে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান কালারমারছড়া সহ অবস্থানের জন্য শান্তি কামনা করে তারেক চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ গ্রুপের দোয়েল সেফহোমে

0

ইয়াছিন আরাফাত,মহেশখালী : প্রাণ ভয় আর ক্ষমা ও সহ অবস্থানের জন্য শান্তি কামনা করে ক্রাইমজোন মহেশখালী দলে দলে ছাড়ছেন জলদস্যুও প্রতিপক্ষের মামলার আসামীদের গ্যাং লিড়াররা। অপরদিকে আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসেনের মধ্যস্থতায় দস্যুরা ও বহু মামলার আসামীরা নিজ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মসমর্পণের সম্মতি হয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। তাছাড়া নিজের ভূল বুঝতে পেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আত্মসমর্পণের আগ্রহ প্রকাশ করায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের তৎকালিন জমিদার মরহুম খাইরুল্লাহ মাতাব্বরের নাতী ফজল হকের পুত্র শাহাদাত হোসেন (দোয়েল) দুবাই প্রবাসীসহ তার কয়েকজন নিকতটম বহু মামলার আসামী আত্মীয়কে সেফহোমে নেওয়া হয়েছে। ৫ নভেম্বার বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার সময় উপজেলার কালারমারছড়া এলাকা থেকে তাঁদেরকে সেফহোমে নেওয়া হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। জানাগেছে, দেশের আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসেনের মধ্যস্থায় আত্মসমর্পণের জন্য খউস্বর গ্রুফের দোয়েল ও তার কয়েকজন সদস্যকে সেফহোমে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলার বৃহত্তর কালারমারছড়া খউস্বর গ্রুফের প্রধান দোয়েলকে সেফহোমে নেওয়ার বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কমলাবর গ্রুফের বর্তমান চেয়ারম্যান তারেক শরীফের ঘোষ্টির সাথে দাপটশালী প্রতিপক্ষ খউস্বর গ্রুফের সাথে দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় অপরাধী ছাড়া ও নিরহ লোকজন মামলার বুঝা নিয়ে ফেরারী জীবন যাপন করছেন। অনেকে হয়েছেন ঘরছাড়া তার পরেও ওই এলাকায় শান্তি ফিরে আসেনি। এক পক্ষ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করলে অপর পক্ষকে এলাকা থেকে বিতাড়িত হওয়ার রেওয়াজে পরিনিত হয়েছে অত্র এলাকায়। এবার সাধারণ মানুষ আশা করছেন দুই গ্রুফের ডজন খানিক দাগি আসামীরা আত্মসমর্পণ করায় হয়ত দীর্ঘদিনের অশান্তির কালারমারছড়া শান্তি ফিরে আসবে। তবে অনেক মনে করছেন হয়ত নিজের ভূল বুঝতে পেরে এলাকায় সহ অবস্থান সৃষ্টি করার লক্ষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে যাচ্ছে তিনি। তবে স্থানিয় বাসিন্দারা মনে করছেন তিনিসহ তার গ্যাং এর সদস্যদের সেফহোমে যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনমনে স্বস্থি ফিরে এসেছে। স্থানিয় গণমাধ্যম কর্মী আব্দু ছালাম কাকলি বলেন, জলদস্যু ও খউস্বর গ্রুফের বর্তমান প্রধান দোয়েল শান্তির লক্ষে আত্মসমর্পণ করতে সম্মতি হওয়ায় হয়ত এবার দীর্ঘদিনের মারামারি হানাহানির অবসান ঘটিয়ে খউস্বর গ্রুফের লোকজন আপন নীড়ে ঘর বাঁধতে পারবে। হয়ত তয়দফায় আত্মসমর্পণে মধ্য দিয়ে ঘর বাঁধার পূর্বের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে মধ্যস্থকারী সাংবাদিক। শাহাদাত হোসেন দোয়েলের পিতা ফজল হক মাতাব্বর বলেন, প্রতিপক্ষের মিথ্যা মামলার বুঝা নিয়ে এলাকায় শান্তির জন্য তার ছেলে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় দফায় আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছে দক্ষিন চট্টগ্রামের বাঁশখালীসহ উপকূলের বাঘা-বাঘা জলদস্যু, সন্ত্রাসী ও অস্ত্রের কারিগররা। এমনটাই জানিয়েছেন প্রশাসনের একাধিক সূত্র।

বর্তমানে এসব জলদস্যু, সন্ত্রাসী অস্ত্র কারিগর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে চলে গেছে। চলতি মাসের ১২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের উপস্থিতিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এই আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, আইজিপি, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজি র‌্যাবসহ সরকার ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও প্রায় শতাধিক জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাকারুদ নিয়ে আত্মসমপর্ণ করতে যাচ্ছে বলে ধারনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। স্থানিয়রা মনে করছেন ডাকাত প্রবণ এলাকা মহেশখালী- বাঁশখালী উপকূলে জলের কুমিরকে ডাঙ্গায় এনে সাংবাদিক আকরাম হোসের মধ্যস্থায় এ আত্মসমপণের মধ্যে দিয়ে শান্তি ফিরে আসবে। উল্লেখ্য,গত ২০১৮ সালের ২০ অক্টোবর কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রথম আলোচিত সাংবাদিক আকরাম হোসেনের মধ্যস্ততায় র্যাব-৭ এর সহায়তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও র‌্যাবের ডিজির উপস্থিতিতে মহেশখালীর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ৫ টি বাহিনীর ৩৭ জনসহ ৪৩ জলদস্যু অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিল। এর ধারাবাহিকতায় ২য় দফায় ২০১৯ সালে ২২ নভেম্বর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় একযোগে মহেশখালীর কালারমারছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন ১২টি সন্ত্রাসী বাহিনীর ৯৬ জন জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর। এ সময় তাঁরা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮৪ রাউন্ড গুলি, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ বিভিন্ন যন্ত্র জমা দেন। তাঁরা সবাই জেলার মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়ার জলদস্যু ও অস্ত্রের কারিগর।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.