বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের আলোচিত শিশু সানজিদা হত্যার দায় স্বীকার করলো গর্ভধারিনী মা

0

ম.ম.রবি ডাকুয়া,বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : বাগেহাটের মোরেলগঞ্জের বহুল আলোচিত ঘুমন্ত অবস্থায় ১৭ দিন বয়সী শিশু সানজিদাকে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিয়েছে।নিজ শিশুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার গর্ভধারিনী মা শান্তা আক্তার (২২)। মরদেহ উদ্ধারের ১২ দিন পর পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।বলছেন জীনে আছর করার নানা কল্প কাহিনী।জবানবন্ধি শেষে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ আদালতের।

শনিবার ২৮ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডলের বরাত দিয়ে জানান শুক্রবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শান্তা আক্তার তার মেয়েকে নিজেই বিছানা থেকে নিয়ে পুকুরে ফেলে দেন বলে স্বীকার করেছেন। এসময় তাকে জিন-ভূতে আছর করে বলেও জানান শান্তা।জবানবন্দি দেওয়ার পর শুক্রবার রাতে শান্তাকে বাগেরহাট কোর্টে পাঠানো হয়। সেখানেও তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। জেরা শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর রাতে গাবতলা গ্রামের বাসিন্দা সুজন খানের শিশুকন্যা সানজিদাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না এমন ভান করে তারা। সেসময় স্থানীয়রা ধারণা করেছেন শিশুটিকে কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। ঘটনার পর থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান চালাতে থাকে বিভিন্ন জায়গায়।কোথাও পাওয়া না গেলে পরে শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন দিন পর তাদের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর পর বিভিন্ন সূত্র ধরে মৃত শিশুর পিতা,চাচা ও ফুফাকে আটক করে পুলিশ এবং একের পর এক তদন্তে বেরিয়ে আসে নানান কাহিনী।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.