গাংনীতে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন প্রকল্পে মউকের অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে ভূয়া তথ্য দিয়ে সেকেন্ড চান্স এডুকেশন কর্মসূচী নেওয়ার প্রতিবাদে বেসরকারী সংস্থা মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর বিরুদ্ধে লোকাল এনজিও ফোরামের প্রেস ব্রিফিং। রোববার বিকেলে গাংনীস্থ রুরাল ভিশন (আরভি) সংস্থার হল রুমে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী লোকাল এনজিও ফোরামের আহবায়ক বামন্দী সমাজ কল্যাণ সংস্থার পরিচালক এবং গাংনী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক জুয়েল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা এনজিও সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, রুরাল ভিশন সংস্থার পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম, শানঘাট পল্লী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক মহিবুল আলম, এমআরএফ সংস্থার পরিচালক আব্দুল হালিম, ভিটাপাড়া নারী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আসমা খাতুন, এআরসি সংস্থার পরিচালক এনামুল হক, দেশসেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক রাকিবুল হক রানা, স্কাই পল্লী উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক কামাল হোসেন, আদর্শ মহিলা কল্যাণ সমিতির পরিচালক মনোয়ারা খাতুন। এ্যাডভোকেট রাশেদুল হক জুয়েল বলেন বাংলাদেশ সরকার দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় মেহেরপুরের ৩টি উপজেলায় ঝরে পড়া শিশুদের হাতে-কলমে শিক্ষাদানের জন্য সেকেন্ড চান্স এডুকেশন নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।
যেখানে একটি জেলায় কমপক্ষে ৩টি এনজিওকে সমন্বয় করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা রয়েছে। তবে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক তথ্য গোপন করে ও আির্থক লেনদেন করে। ফলে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলার জামায়াত-বিএনপিমনা সংগঠন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক (এজেন্ট) এনজিওকে প্রকল্প দিয়েছে। ঝরে পড়া শিশুদের জন্য কমপক্ষে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা, সংস্থার আইসিটি ল্যাব থাকার কথা থাকলেও মউকের তা আদৌ নাই। এমনকি মউক লোকবলের ভূঁয়া তথ্য দাখিল করেছে। এছাড়াও সংস্থার ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ব্যাংক সনদ, সংস্থার গঠনতন্ত্রে ঝরে পড়া শিশু শিক্ষার অনুমোদিত সনদ না থাকলেও মিথ্যা তথ্য দেয়া হয়েছে। সংস্থার এইচআর পলিসি, আর্থিক, পলিসি এবং চাইল্ড প্রটেকশন পলিসি কোনটিই নাই। তবুও কর্তৃপক্ষ ভূঁয়া তথ্য গ্রহণপূর্বক সংস্থাকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোটি টাকার প্রকল্পে নিয়োগ দিয়েছে। মউক ২০০৩ সালে ভোটার শিক্ষার নামে জামায়াত-বিএনপির নির্বাচনে সহযোগিতা করেছিল।
২০০৬ সালে মেহেরপুর জেলার শিশু শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার নামে ব্যাংক ডাফট গ্রহণ করে ১০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। যেখানে বিএনপি সরকারের ছত্রছায়ায় সম্ভব হয়েছে। ২০০৭ সালে জামায়াতের রোকনদের দক্ষতা বৃদ্ধির নামে কর্মসুচি বাস্তবায়ন করেছিল। ২০১০ সালে প্রতিবন্ধী, এতিম ও দুস্থ্যদের কোরবানীর গোশ বিতরণের নামে মুসলিম এইড-এর কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছিল। ২০১২ সালে সরকারের সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে পরিচালক জেল খেটেছিলেন। এছাড়াও মউক এডাব নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাত করে।