নকলা চন্দ্রকোণা সড়ক মানুষের চরম ভোগান্তি; একবার পাড় হলে বদলে যায় শরীরের কালার

0

নকলা(শেরপুর) প্রতিনিধি : নকলা উপজেলা সদর হইতে দক্ষিণ দিকে ৭ কিলোমিটার সড়ক চলে গেছে। সড়কটি দীর্ঘ ৪ বছর বেহাল অবস্থায় ছিলো। সাংবাদিকদের লেখা লেখিতে স্থানীয় জনসাধারণের দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর এলজিইডি, শেরপুর নকলা গত বছর ১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ কাজটি শুরু করে। ঠিকাদার হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন মেসার্স ধ্রুব ট্রেড এজেন্সি, প্রোঃ আরিফুল ইসলাম উজ্জল। কাজটি সিডিউল অনুযায়ী দুপাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করার কথা থাকলেও মাটি কাটা ব্যতিরেখে কাজটি শুরু করেন। উপজেলা প্রকৌশলী আরেফিন পারভেজ একজন উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদকে দেখভাল করার দায়িত্ব দিলেও সে মাঝে মধ্যে খোঁজ নেয়। নির্মাণ কালে পুরো সময় ঠিকাদারের লোকজন নির্মাণ কাজে নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ শুরু করেন। দুইপাশে মাটি ভরাট ছাড়াই খোয়া, বালি ফেলে রুলার দিয়ে ফিনিশিং করে রেখেছেন। বক্সকাটা কাজ শেষ হলেও রাস্তার প্রশস্ততা ১ ফুটও বাড়েনি। রাস্তার পাশ দিয়ে পায়ে হেটে যাওয়ার মত জায়গা নাই। এদিকে ইট বালু বিছিয়ে রাখলেও কার্পেটিং এর কাজ না করায় ৬ মাস যাবত শতশত যানবাহন, হাজার হাজার যাত্রী সাধারণ চরম ,দূর্ভোগে পড়েছে। আশে পাশের বাড়ি ঘর কায়দা, বাজারদী, বালিয়াদি, আড়িয়াকান্দা, জানকিপুর, মরাকান্দা, বন্দটেকি, রাণীগঞ্জ, চন্দ্রকোণা সদরের প্রায় ২০ হাজার লোকের নিত্যনৈমিত্তিক যাতায়াত এই সড়কেই। ধূলা বালি উড়ে গাছপালা, বাড়িঘর ফসল বিনষ্ট হচ্ছে। একজন যাত্রী মাত্র ২০ মিনিটে যাতায়াত করে এপাড় থেকে ওপাড়ে গেলে শরীরের কালার পাল্টে যায়। তার পোশাক ধোয়া ছাড়া পড়তে পারে না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী নকলা, শেরপুরের আরেফিন পারভেজের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পানি সিডিউলে ধরা নেই তাই ঠিকাদার কি করবে। সারা রাস্তায় কি পানি দেওয়া সম্ভব। এদিকে চরমভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা বর্তমান নেতৃস্থানীয় এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.