দলীয় কোন্দলে উন্নয়ন অনেকটা ম্লান! মহেশখালীর ধলঘাটা নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে অধিকার আদায়ের নামে নাটকীয়তা
ইয়াছিন আরাফাত, মহেশখালী প্রতিনিধি, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সাগর তীরবর্তী এলাকা ধলঘাটা ইউনিয়নে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে পিছিয়ে ফেলার কৌশলে মাঠে নেমেছে নাগরিক অধিকার নামে নিবন্ধন বিহীন একটি সংগঠন।
জানাগেছে, ইতিমধ্যে উপজেলার ধলঘাটায় শাসনকার্যে ব্যঘাত ও উন্নয়নের নামে লোপাট দৃশ্যমান। যেটি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
নদী ভাঙ্গনে ধলঘাটার কিছু কিছু এলাকায় আংশিকভাবে বিলুপ্ত হওয়ার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজশে একটি নাটকীয় মতবিনিময় সভা করে গণস্বাক্ষর নেয় তারা। অথচ বর্তমান স্থায়ী নাগরিকদের অনেকে নাগরিক সেবা বঞ্চিত সেদিকে খেয়াল নেই চেয়ারম্যান কামরুলের এমন অভিযোগ স্থানিয় অনেকের।
প্রবীণ রাজনীতিবিদরা মনে করছেন নাগরিক কমিটির করা নাটকীয় মতবিনিময় সভা শুধুমাত্র সঠিক সময়ে হওয়া নির্বাচনকে পিছিয়ে ফেলবার কৌশল মাত্র। সঠিক সময়ে নির্বাচন হলে ইউনিয়নটিতে ভিন্ন কিছু আশা করা যায় বলেও মনে করছেন তারা। ফলে ডিজিটাল দেশ ঘটনে সহায়ক হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিকবোদ্ধরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রাজনীতিবিদ জানান, বিগত ৫ বছরে লোপাট করতে করতে তেমন কোন উন্নয়ন করার সুযোগ পায়নি স্থানিয় জনপ্রতিনিধি। তিনি নিজেও জানেন যে সঠিক সময়ে নির্বাচন হলে হেরে যাবেন তিনি,এজন্য নির্বাচনকে পিছিয়ে ফেলে নাগরিক কমিটিকে ব্যবহার করে নাটকীয় অধিকার আদায়ের নামে আরো দু-এক বছর লোপাট করার সুযোগ খুঁজছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের স্থানিয় নেতাকর্মীদের একটি অংশ সঠিক সময়ে নির্বাচনের দাবি তুলেছেনং বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। তিনি ওয়ার্ড পূণঃ গঠনসহ বিভিন্ন জট দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনোও নিশ্চিত হতে পারেনি।
উপজেলার ধলঘাটা আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মাঝে রয়েছে ব্যাপক অর্ন্তকোন্দল। আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করলেও দলের স্থানিয় শীর্ষ নেতাদের কোন্দলে তার সাফল্য অনেকটা ম্লান হয়ে গেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ কোন্দল যা দিন দিন আরো তীব্র হচ্ছে।
বিশেষ করে বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছৈয়দ আলমের মধ্যে
বিরোধ প্রকট রূপ নেয়। যা দিন দিন আরো তীব্র হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানিয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের একটি অংশ। এ অবস্থা চলতে থাকলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফল পাওয়া আওয়ামী লীগের জন্য কষ্টসাধ্য হবে।
জানাগেছে, আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশিরা। জনগণের মন জয়ে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। পিছিয়ে নেই দলীয় টিকেটের লবিংয়েও। তবে মাঠে ময়দানে তেমন দেখা না মিললে নিরবে ভোট প্রার্থনা করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশিরাও। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় টিকেট কে পাচ্ছেন তা নিয়ে এলাকাবাসির মধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষণ। তবে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মাঝে বিরোধ থামানো না গেলে ইউপি নির্বাচনে চমক দেখিয়ে চেয়ারম্যান হতে পারেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি।
ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, নদী ভাঙন হওয়ার কারনে অনেক বসতি বিলিন হয়ে গেছে। জনগণের স্বার্থে ও ধলঘাটাকে রক্ষাসহ ওয়ার্ড পূর্ণ ঘটনের জন্য তিনি দাবি তুলেছেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ও তিনি দাবি তুলেন এটি যারা নাটকীয় মতবিনিময় সভা মনে করছেন আইন সম্পর্কে তারা কিছু বুঝেনা।
মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ওয়ার্ড পূর্ণঃ গঠনের জন্য সচেতন লোকজন সভা করেছেন বলে শুনেছি।