তামাক পণ্য বিক্রয়ে লাইসেন্স নিতে হবে ॥ তামাক নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভায় চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক
মেহেরপুর প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে ধূমপান মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে। তামাক পণ্য বিক্রয়ে লাইসেন্সিং এর ব্যবস্থা করতে পারলে আগামী প্রজন্ম ধূমপানে নিরুৎসাহী হবে। আগামীতে অবশ্যই সকল তামাক পণ্য ব্যবসায়ীকে আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে। তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তামাক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক।
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তামাক কোম্পানীর বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধে অনুষ্ঠিত সভায় পল্লী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর প্যানেল মেয়র সুলতানা আঞ্জু (রত্না),প্যানেল মেয়র-২ উজ্জল হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাঁদ, পৌর সচিব কাজী শরিফুল ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আব্দুল মুহাইমিন পলাশ, সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক হাসানুজ্জামানসহ কর্মকর্তাগণ। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকায় তামাক নিয়ন্ত্রণ অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এ কর্মকান্ডের সচিত্র তথ্য উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প কর্মকর্তা তৌহিদ উদ দৌলা রেজা।
বিস্তারিত আলোচনায় জানা গেছে, পৌর এলাকায় ‘ ২৭৯ টি দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে, অনেক স্থানেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের অবৈধ বিজ্ঞাপন প্রদর্শণ করছে তামাক কোম্পানীগুলো, যা স্থানীয় সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা অনুযায়ী আইনত দন্ডনীয়। সভার আলোচনায় উল্লেখ করা হয়, করোনা মহামারীতে তামাক কোম্পানীর এরকম প্রচার-প্রচরণা আমাদের আগামী দিনগুলিকে ঝুকিতে ফেলছে। করোনায় অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের মৃত্যু ঝুঁকি ১৪ শতাংশ বেশি।
জেলা টাস্কফোর্স কমিটিতে সিদ্ধান্ত গ্রহনের মাধ্যমে ভ্রামমান আদালতের মাধ্যমে এই বিজ্ঞাপন অপসারণ ও শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জেলা টাস্কফোর্স কমিটিকে অনুরোধ জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোকরেমা মাকছেরা। এইড ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটভুক্ত সংগঠন পল্লী উন্নয়ন সংস্থার উদ্দ্যোগে এবং চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহযোগীতায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এইড ফাউন্ডেশনের ন্যাশনাল প্রকল্প কর্মকর্তা আবু নাসের অনিক।