পাবনায় বধ্যভুমি ও  কবর সংরক্ষণের কাজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ : ক্ষোভ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের

0

রফিকুল ইসলাম সুইট  : অনেক আগেই মেয়াদ শেষ হলেও নামমাত্র শুরু হয়েছে পাবনায় বধ্যভুমি সংরক্ষণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষনের কাজ। নামমাত্র শুরু হলেও শেষ হওয়া নিয়ে আশংকা  ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গণ। জমি নির্ধারণ জটিলতায় কাজের গতিব্যাহত হচ্ছে বলে  জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা চান গনপুর্ত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ।
পাবনা গণপুর্ত বিভাগের প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তার জানান, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষন ও বধ্যভুমি সংরক্ষণ  প্রকল্পের আওতায় পাবনা জেলায় ৭৬ টি কবর আছে এর মধ্যে ৪০ কবর সংরক্ষণের কাজ চলছে।কবর গুলোর সঠিক স্থান নির্ধারণ করায় বেশ জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং স্থানীয় মানুষের নিয়ে জায়গা নির্ধারণ করার চেষ্ঠা চলছে।

জেলায় ২০টি জায়গায় বধ্যভুমি রয়েছে এর মধ্যে ৪ টি টেন্ডার করা হয়েছে। অবশিষ্ট ১৬ টির জন্য জায়গা অধিগ্রহন করতে হবে।  ডিজাইন মোতাবেক প্রত্যেকটির জন্য ১১ শতক জায়গা প্রয়োজন জায়গা আরেকটু বেশী হলে ভালো হয়। জায়গা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে।  এসব সমস্যার জন্য কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে।জেলা প্রশাসন কে অনেক আগেই চিঠি দেয়া হয়েছে সমস্যা সমাধানের জন্য।

তবে আমরা স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঐএলাকার বয়স্ক ব্যাক্তি, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মীয়স্বজন এবং জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় কাজ করছি। কাজটি আরো তরন্বিত করতে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে মুক্তিযেদ্ধা সংসদ এর সাবেক পাবনা জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, এই প্রকল্পের ব্যাপারে আমরা কিছুই জানিনা। বর্তমান সরকারের একটি মহান উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তবে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সাথে সমন্বয় করা প্রয়োজন ছিল। ভুল করলে বির্তক সৃষ্ঠি হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন বলেন, বর্তমান সরকারের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষন ও বধ্যভুমি সংরক্ষণ  প্রকল্প একটি দুষ্টান্তমুলক প্রকল্প।

আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানিনা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের না জানিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। চারিদিকে চলছে লুটপাট এ ব্যাপারে যেন কোন অনৈতিক কিছু না হয়। সমন্বিতভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ভালো হবে। আমরা সহযোগতিার জন্য প্রস্তুত আছি। গণপুর্ত  বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে পাওয়া যায় নি। পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিষয়টি সমাধান করার জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয়দের সমন্বয়ে  যতদ্রুত সম্ভব সমস্যা সমাধান করা হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.