চাটমোহরে ওষুধ ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে ক্রেতার সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের ওষুধ ব্যবসায়ী বুশরা ফার্মেসীর মালিক ইয়াছিন আলীর বিরুদ্ধে এক নারী ক্রেতার সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার বিচার চেয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি চাটমোহর শাখার সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দা নাজমা রহমান নীপা তার অসুস্থ্য মা নুরুন্নাহার বেগমকে গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) চাটমোহর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক ইসিজি করে কিছু ওষুধ লিখে দেন। ওষুধ কিনতে নাজমা রহমান বেলা আড়াইটার দিকে হাসপাতাল গেটের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে খোঁজ করতে থাকেন। ওষুধটির নাম ছিল ফিলনর-৩৫ এমআর। কোনো দোকানে না পেয়ে বুশরা ফার্মেসীতে গেলে ওষুধটি পান।
দোকান মালিক ইয়াছিন আলী তিনটি ট্যাবলেট বের করে দেন। তখন তিনি বলেন, ডাক্তার ৬টি লিখছে, আপনি ৬টি দেন। দোকান মালিক বলেন ৩টিই আছে। তখন নাজমা কি করবেন ভেবে না পেয়ে তার স্বামীকে ফোন দিয়ে জানান যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনটি পাওয়া গেছে, কি করবেন। তখন তার স্বামী তাকে ৩টি ওষুধমফ নিতে বলেন। মোবাইল ফোনে কথা শেষ করে দোকান মালিকের কাছে ওষুধ তিনটি চাইলে দোকান মালিক ইয়াছিন আলী আকস্মিক রেগে গিয়ে তাকে ধমক দেন। বলেন, যান আপনার ওষুধ কিনতে হবে না, অন্য দোকান থেকে নেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ওষুধ না দিয়ে উল্টো অশোভন আচরণ করেন ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী।
নাজমা রহমানের অভিযোগ, কি অপরাধ ছিল তা ওষুধ ব্যবসায়ী না বলে একজন নারী ক্রেতার সাথে যে ব্যবহার করেছেন তা ছিল রীতিমতো ন্যাক্কারজনক ও অপমানজনক। একজন ওষুধ ব্যবসায়ী একজন ক্রেতার সাথে কখনই অশোভন আচরণ করতে পারেন না বা মেনে নেয়া যায় না। ওষুধ ব্যবসা শুধু ব্যবসাই নয়, একটি সেবাও।
এদিকে, এ বিষয়ে হাসপাতাল গেটের কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ীর সাথে হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওই ওষুধ ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলীর কথাবার্তা ও আচরণ ভাল নয়। তিনি অনেকের সাথেই এমন রুঢ় ও অশোভন আচরণ করে থাকেন। বড় ওষুধ ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে বড় ভাবেন। তার কারণে ওষুধ ব্যবসায়ী ও সমিতির মান ক্ষুন্ন করছে বলে মনে করেন তারা।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি চাটমোহর শাখার সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভোগীর স্বামী। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি চাটমোহর শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
অভিযুক্ত ওষুধ ব্যবসায়ী ইয়াছিন আলী বলেন, ওই নারী ক্রেতার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়নি। তিনি ৬টি ওষুধ চেয়েছিলেন। আমার কাছে ৩টি ছিল। পরে তিনি ৩টি ওষুধ না নিয়ে ৬টিই দিতে বলেন। তখন তাকে বলেছিলাম তাহলে অন্য দোকান থেকে কিনে নেন। আপনি তার সাথে অশোভন আচরণ করেছেন এ অভিযোগ কি তাহলে সঠিক নয়-এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সেটা বলতে পারবো না।