0
ইবি প্রতিনিধি : আগামী ১ মার্চের মধ্যে আবাসিক হল খোলা না হলে তারা নিজেরাই হলে উঠার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে ইসালামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। পরে চলমান পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনকারীরক।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্ত্বরে সংবাদ সম্বেলন করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্বেলনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জি কে সাদিক লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে। এমন হটকারী সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখান করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রাখছি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে হল-ক্যাম্পাস খুলে শিক্ষাকার্যক্রম স্বাভাবিক করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ যে ধর্যের পরিচয় দিয়েছে সেটা আর বজায় থাকবে না। আগামী ১মার্চের মধ্যে হল ও ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিতে বাধ্য হবে।
তারা আরো বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর ইতোমধ্যে ইবিতে সব ধরণের পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আমরা মনে করি এটি চরম হটকারী সিদ্ধান্ত। কারণ ইতোমধ্যে অনেক বিভাগের পরীক্ষা চলছে, কিছু বিভাগে পরিক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসে মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অবস্থান করছেন। এমন পরিস্থিতিতে পরিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিপাকে ফেলা হয়েছে। পরে হল খুলে দিতে ও পরীক্ষা চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিল নিয়ে তারা ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে সমবেত হয়। পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের সাথে সাক্ষাৎ করে দাবির কথা জানান।
এসময় ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের দাবির মঙ্গে একমত। তবে আমরা শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবো না।’ পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নিলে আমিও পরীক্ষা চালু করবো। এ মুহূর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারছি না।’

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.