একুশে পদক পেতে পারে বিজয় সরকার; আশাব্যক্ত করেন লোকসংগীত শিল্পী সুষমা দাস
বিডি২৪ভিউজ বিনোদন ডেস্ক : বিজয় সরকারের রচনাশৈলী সুর ও গায়কী যাবতীয় বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর সংগীত হয়ে উঠেছে স্বতোৎসারিত প্রবাহের মত৷ অমৃতেনর প্রবাহ বললে খুব ভুল হবে না ৷ তাঁর সৃষ্টির এই বিশেষ দিকটিতে ধরা পড়েছে তাঁর প্রতিটা গানগুলোর ভিতরেই।
হোক তা প্রণয়,বিরহ,ভালোবাসা থেকে প্রকৃতি কিংবা স্বদেশ চেতনা থেকে বৈরাগ্য অথবা পূজা থেকে রসবোধ৷ জীবনযাপনের সব শাখাতেই,মানব মনের সব অনুভূতি নিয়েই সংগীত রচনা সুর ও গায়কীর ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছেন মানুষকে অপরূপ সুরের আর বাণীর স্রোতে৷
তাই সুর সাধককে বাংলাদেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানে ভূষিত করা হবে বলে আশাব্যক্ত করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ জীবন্ত কিংবদন্তী ২০১৭ সালের একুশে পদক বিজয়ী লোকসংগীত শিল্পী ‘সুষমা দাস।
বাংলা লোকগানের এই জীবন্ত কিংবদন্তি, বাংলাদেশের সবচাইতে প্রবীণ শিল্পীদের একজন যিনি দীর্ঘ দশক ধরে লোকসংগীতের সাথে জড়িত। তার সংগ্রহে আছে অসংখ্য প্রাচীন লোককবির গান; অবাক ব্যাপার তাঁর সেই গানগুলো কোনো ডায়রিপাতায় লিপিবদ্ধ নয়, আস্তটাই তাঁর স্মরণশক্তির আওতায় পুঞ্জিভূত। বয়সের ভারে বেশ নুইয়ে গেলেও গাইবার সময় কণ্ঠ কিন্তু আগের মতোই প্রাণবন্ত। এই বয়সেও সুরেলা কণ্ঠে গান করে অবাক করে চলেছেন হাজারো দর্শক, শ্রোতা ও গানপ্রেমীদের। সবার প্রায় একই প্রশ্ন : ৯০ বছর বয়সে এত সুর, তাল, লয় ঠিক রেখে কি করে সম্ভব সুরেলা কণ্ঠে একের পর এক গান করা? অবশ্যই তা গানের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও ভক্তির গুণেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভবে রূপান্তরিত করেছেন।
কোন পদক বা পুরস্কার মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করে। কারণ স্বাভাবিকভাবে কাজের স্বীকৃতি পেলে মানুষ আনন্দিত হয়। এই পুরস্কার আরও কাজে উদ্বুদ্ধ করে। আর না পেলে মন খারাপ হয়।
এই পদক বা পুরস্কারকে যারা ব্যবসার মানদণ্ডে নামিয়ে এনেছে তাদের জন্য মেধার মূল্যায়নের এই দুর্দশা।পুরস্কার শব্দটি মানুষের কাজের স্বীকৃতি এবং দক্ষতার মূল্যায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এমন মানুষও আছেন যারা পুরস্কারের জন্য কাজ করেন না। এসব মানুষের সংখ্যা বেশি নয়। হাতে গোনা। তারা কাজ করেন নীরবে, নিভৃতে তাঁদের মধ্যে সুরকার গীতিকার ও সংগীত শিল্পী ‘বিজয় সরকার অন্যতম।
দেশের খ্যাতিনামা এই সংগীত শিল্পী সুরকার ও গীতিকারের দেশের ২য় বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক প্রদানের দাবীতে সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধমে’ব্যাপক দাবি জানিয়েছেন তাঁর গানের হাজারো ভক্তবৃন্দ । এমন মহৎ সংগীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকারকে বাংলাদেশের জাতীয় এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ২১ পদকে ভূষিত করা হবে বলে আশাবাদী গান পিপাসু শ্রোতাগন।
— জাহিদ হাসান নিশান।