বসিলা সেতু ভাঙ্গা গড়া বিস্ময়কর ঘটনা। বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মাহমুদ

0

ঢাকা শহর ঘেঁষা বুড়ীগঙ্গা নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে বসিলা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে ২০০৮ সালে এবং জানা যায় নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল ৮৬ কোটি টাকা। ওটা ভেঙে ফেলে নতুনভাবে পুনরায় নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যেই নির্মাণ এর জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কারন হলো যে ঐ সেতুর নীচ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কার্গো চলাচল করতে পারে না। তবে অন্য আর কোন কারণ আছে কিনা জানা যায় নি।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেঃ-

১) বুড়ীগঙ্গা নদী দিয়ে কার্গো চলাচল কি নুতন করে শুরু হয়েছে নাকি ২০০৮ সালের পূর্ব থেকেই চলতো?
২) পরিকল্পনা করেছিলেন কারা? কোন রাজনীতিবিদ নাকি কোন ইঞ্জিনিয়ার নাকি কোন দিন মজুর ?
৩) পরিকল্পনা করার সময় তারা কি জানতেন না বুড়ীগঙ্গা নদী দিয়ে কার্গো চলাচল করে নাকি জেনে বুঝে অসৎ উদ্দেশ্যে ইচ্ছে করে ভুল করেছেন ?
৪) যদি পরিকল্পনায় ভুল থাকে তবে যারা ভুল করলো তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা? কারণ এভাবে জনগনের অর্থ ইচ্ছে করে পানিতে ফেলার অধিকার তাদেরকে তো দেওয়া হয় নাই।

যাদের পিছনে জনগন কোটি কোটি টাকা বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাবদ খরচ করে তাদের অবহেলা ও ভুল পরিকল্পনার জন্য জনগনের শত শত বা হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় ও লুটপাট হয়ে যাবে এটা কেউই কোন ভাবে মেনে নিতে পারে না ও মেনে নেওয়া যায় না।
জানা যায় একই কারণে শুধু বসিলা সেতু নয় এরকম শতাধিক ছোটবড় কালভার্ট ও সেতু ভেঙে নুতন করে নির্মাণ করার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ও ইতিমধ্যে টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সুতরাং যেসকল দায়িত্ব শীল ব্যক্তির দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার জন্য সঠিক ও উপযুক্ত পরিকল্পনার গ্রহণ না করার কারণে নির্মিত কালভার্ট ও সেতু ভেঙে নুতন করে নির্মাণ করতে হচ্ছে সবার আগে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তারপর নুতন নির্মাণ। তা না হলে ঐ সকল ব্যক্তির দায়িত্ব হীনতা আরও বেড়ে যাবে এবং তাতে করে দূর্নীতিবাজরা প্রশ্রয় পেতে থাকবে ও তাদের সাহস বেড়ে যাবে। এখনই ওদের বুঝতে দেওয়া প্রয়োজন যে অন্যায় করে পার পাওয়া যাবে না।

কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির ভুল সিদ্ধান্ত ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে জনগনের টাকা পানিতে পড়ে যাবে তা হতে পারে না। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট সরকারি কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। বিষয়টি দেখার পবিত্র ও আইনানুগ দায়িত্ব ও কর্তব্য সরকারের এবং সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।
(তথ্য সংগ্রহ ফেসবুক ও সংবাদ মাধ্যম থেকে)

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী ও কলাম লেখক ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.