জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী পাবনায় নানা আয়োজন ।। রফিকুল ইসলাম সুইট

0

হাজার বছরের ইতিহাসে এ অঞ্চলের নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে শাসিত এবং শোসিত হয়েছে মগধ, শশাংক, পাল, সেন, বিট্রিশ সর্বশেষ পাকিস্তানীদের দারা। বাঙ্গালী জাতির হাজার বছরের শৃঙ্খল মোচনের এবং স্বাধীন উন্নত জাতি গঠনের এক মহামানবের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এখন কিসিঞ্জারের তলা বিহিন ঝুড়ি নয় বিশ্ব স্বীকৃত উন্নয়নশীল বাংলাদেশ।

১৭ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার সেই মহাকবি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২ তম জন্মবার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে পাবনা জেলা প্রশাসন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা জেলা পরিষদ, পাবনা পৌরসভা, পুলিশ প্রশাসন, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ কলেজ, হাজী জসীম উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ, পাবনা প্রেস ক্লাব, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠি, সকল উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসুচী গ্রহন করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রজ্বলিত এক ঊজ্জ্বলতম নক্ষত্র। বঙ্গবন্ধু আমাদের অনুভূতি ও অন্তর আত্মায় মিশে আছেন। শেখ মুজিব মানেই স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির পিতার প্রতি আমাদের ঋণ, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা অশেষ, চির কৃতজ্ঞ। বাঙ্গালি বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন-তার আত্মপরিচয়ের ঠিকানা, অহঙ্কারের সাতকাহন, আত্ম মর্যাদার প্রতীক-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালির চেতনার রাজ্যে মুকুটহীন রাজা, অপ্রতিদ্বন্দ্বী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের মহানায়ক, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, বিশ্বনন্দিত নেতা। মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহ ডামাডোল আর ধ্বংস স্তুপের মাঝে দাড়িয়েও বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান লেখক অন্নদাশঙ্কর রায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যথার্থই বলেছিলেন, ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান/ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।/দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা রক্তগঙ্গা বহমান/তবু নাই ভয় হবে হবে জয়, জয় মুজিবুর রহমান।’

শেখ মুজিব মানেই বাঙালির মৃত্যুঞ্জয়ী চেতনা। শেখ মুজিব মানেই সাম্য-অধিকার-গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। শেখ মুজিব মানেই দেশের জনগণের প্রতি মানুষের প্রতি ভালোবাসা। শেখ মুজিব মানেই নিজ নিজ ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। শেখ মুজিব মানেই বাঙালির দিশা- আলোর দিশারী। শেখ মুজিব মানেই তো বাংলাদেশ, স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।

১৭ মার্চ যেন বাংলার স্বাধীন রক্তিম সূর্য্যরে অভ্যুদয় । বঙ্গবন্ধুই বাঙালির স্বাধীনতার মহানায়ক। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার জন্ম না হলে বিশ্বের মানচিত্রে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধু স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যোগদানের কারণে তিনি কারাবরণ করেন।
পরবর্তী সময়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা স্বীকৃতির দাবিতে সাধারণ ধর্মঘট চলাকালীন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি উত্থাপন, ৬৯ গণ আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং সর্বশেষ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তৈরি ও নেতৃত্বদানের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধু আমাদের অসীম সাহসিকতার প্রতীক। সমগ্র বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বীর। ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, তিতুমীর, সুভাষ বোস, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জগদীশ চন্দ্র বসু, শেরেবাংলা, সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানীর মতো সাহসী নেতৃত্বের নির্যাস তিনি নিজের মধ্যে ধারণ করতেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন গরিব-দুঃখীসহ সমগ্র বাঙালির সত্যিকারের মহান বীরপুরুষ। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র জীবনটাই ছিল সংগ্রামে পরিপূর্ণ। অধিকার আদায়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বহুবার তিনি জেল খেটেছেন। তার জীবনের ১৪টি বছর জেলের মধ্যেই কেটে গেছে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন- ‘শাসনতন্ত্রে লিখে দিয়েছি যে, কোনোদিন আর শোষকরা বাংলার মানুষকে শোষণ করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।’ ‘আমি বাঙালি। বাঙালি জাতি হিসেবে বাঁচতে চাই সম্মানের সঙ্গে। আমার রাষ্ট্র হবে ধর্মনিরপেক্ষ। মানে ধর্মহীনতা নয়। মুসলমান তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে, বুদ্ধিষ্ট তার ধর্ম-কর্ম পালন করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না। তবে একটা কথা হল, ধর্মের নামে আর ব্যবসা করা যাবে না।’

ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ভাষণে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে কবিগুরুর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ‘হে কবিগুরু আপনি এসে দেখে যান, আমার ৭ কোটি বাঙালি আজ মানুষ হয়েছে।’ ঢাকা স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের দিন বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে বলেছিলেন, আমি সব ত্যাগ করতে পারি, তোমাদের ভালোবাসা ত্যাগ করতে পারব না।

পাকিস্তান কারা অভ্যান্তরে কবরের সামানে দাড়িয়ে কর্তৃপক্ষকে বলেছেন, ‘আমি বাঙালি, আমি মুসলমান, আমি মানুষ। মানুষ একবার মরে, বারবার মরে না। আমি কখনই আত্মসমর্পণ করব না। যদি তোমরা আমাকে মেরে ফেল, মৃত্যুর পর, আমার লাশটা আমার দেশে আমার মানুষদের কাছে পৌঁছাইয়া দিও।’

ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টের ‘আপনার সবচেয়ে বড় যোগ্যতা কী’ এ প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি।’ ডেভিড ফ্রস্টের ‘আপনার বড় দুর্বলতাটা কী’- এ প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার দেশের মানুষকে বেশি ভালোবাসি।’

বিশ্বখ্যাত কিউবার সংগ্রামী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দেখে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, হিমালয়সম মুজিবুর রহমানকে দেখলাম। আমার হৃদয়-মন জুড়িয়ে গেল।’ জাতিসংঘের ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্টারি হেরিটেজের অংশ হিসেবে অর্থাৎ বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে মন্ত্রমুগ্ধের মতো উদ্বুদ্ধ করেছিল। বিশ্বের ইতিহাসে এমন ভাষণ আর দ্বিতীয়টি নেই। বঙ্গবন্ধুর মতো এমন নেতা ও নেতৃত্ব বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। ৭ মার্চের ভাষনে কবির ভাষায়- শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে, রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে, অত:পর কবি জনতার মঞ্চে — কে রোধে তাহাঁর বজ্রকন্ঠ বাণী: গণসুর্য্যরে মঞ্চ কাপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর কবিতা খানি“ এবারের সংগ্রাম – আমাদেও মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদেও – স্বাধীনতার সংগ্রাম”।

জাতীয়তাবাদ, তোমরা বিশ্বাস কর এটা হল, আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলার কৃষ্টি, বাংলার সভ্যতা, বাংলার ইতিহাস, বাংলার মাটি, বাংলার আকাশ, বাংলার আবহাওয়া, তাই নিয়ে বাংলার জাতীয়তাবাদ। আমি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি, তা তোমরাও কর। শোষণহীন সমাজ, সুষম বণ্টন, সম্পদের মালিক জনগণ- তোমরা তা বিশ্বাস কর। এ লক্ষ্যে পৌঁছবার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই। আস্তে আস্তে যেতে হবে।’
২০২১-২২ সাল মুজিব শতবর্ষ- এ প্রজন্মের অহংকারর বৎসর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে মুজিব আদর্শ বাস্তবায়নের বছর। কারণ দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাংক্ষার প্রতীক, ভাগ্য পরিবর্তনের নির্মাতা, দেশের উন্নয়নের রূপকার, বাংলার আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, মাদার অব হিউম্যানিটি, বিশ্বনন্দিত নেতা, দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়া ও মুজিব আদর্শ বাস্তবায়ন সম্ভব।

সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন, এসডিজি অর্জনে আইসিটি ব্যবহারে প্রচারণা, ডিজিটাল ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অগ্রগতি ও শিক্ষার প্রসারে ভূমিকা রাখা, বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য প্লোবাল উইমেন্স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড, আইসিটি সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, প্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড, এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার ও প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন, জাতিসংঘের সাউথ সাউথ কো-অপারেশন ভিশনারি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ পুরস্কার, সম্প্রতি ভ্যাকসিন হিরো, চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ুথ পুরস্কার, অতিসম্প্রতি মর্যাদাপূর্ণ এশিয়ান টাউনস্কেপ জুরিস অ্যাওয়ার্ডসহ ৩৯ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার/ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। ফোবর্সের প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন।

মুজিব জন্মশতবর্ষে আমাদের শপথ হোক- বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র সংবিধানের এ চার মূলনীতিকে সত্যিকার অর্থেই প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন করা। কবির ভাষায় : “মুজিব মরে না, মরেনি মুজিব, কোন বুলেটের ঘায়। বুলেটে পতিত দেহুই কেবল, অমর সে আত্মায়। অবিরাম হেটে চলেছে মুজিব রক্তচাদর গায়, মুজিব, মুজিব, জনকের নাম, এতো সহজে কি মোছা যায়?” ঘাতকরা হয়নি সফল; মুজিব চেতনায় জাগ্রত, হৃদয়ে স্পন্দিত, শোকাহত-প্রতিবাদী-মুজিব বিপ্লবী জনতা কোটি কোটি। মুজিব মরেনি; মরতে পারে না; শতবর্ষে শেখ মুজিব শতকোটি গুণ শক্তিশালী।

জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসুচী
১৭ মার্চ সুর্য্য উদয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় প্রতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করা হবে। বেলা ১২ টায় দলীয় কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করবে। র‌্যালী শেষে কেক কাটা, মিষ্ঠি বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যা ৭ টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা প্রশাসনের কর্মসুচী
১৭ মার্চ বৃহস্পতিবার সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় উত্তোলন, সকাল ৯ টায় জেলা পরিষদে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, সাড়ে ৯ টায় জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কাচারী মসজিদে বাদ যোহর দোয়া মাহফিল এবং আগের দিন সকল উপজেলা ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুরে জেল খানায়, হাসপাতালে, এতিম খানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে। বিকেলে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হবে।বঙ্গবন্ধুকে জানো শিরোনামে কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে। জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে শহীদ এম মনসুর আলী কলেজে এবং টার্মিনাল গোল চক্কর এলাকায় স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদশর্ন করা হবে। আলোক সজ্জাকরন, বেনার, ফেষ্টুন দ্বারা শহরের বিষেশ বিষেশ স্থান সৌন্ধয্য বর্ধনকরা হবে।

সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনা প্রতিনিধি ( বাসস, ভোরের কাগজ, ডেইলী সান)

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.