নিউইয়র্কে পরিবারের সদস্যদের সেবা করে বাংলাদেশী তরুণীর মৃত্যু
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): মহামারী করোনার ভয়াল পরিস্থিতে নিউইয়র্ক সিটির ওজনপার্কে ঘটেছে মর্মান্তিক ঘটনা। করোনায় আক্রান্ত পরিবারের সদস্যদের সেবা করতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হয়ে অবশেষে প্রাণ দিতে হয়েছে ২২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশী তরুণীর। এই ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার পৌর শহরের কসবা এলাকার বাসিন্দা জালাল আহমেদ। তিনি ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর সপরিবারে ওজনপার্কে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাদের সেবা করতে গিয়ে নিজেও করোনায় আক্রান্ত হন সামিয়া হাবিবা নামের ২২ বয়সী তরুনী। সে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার সেবায় পরিবারের সকলেই করোনা মুক্ত হলেও তার পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। ভর্তি হতে হয় জ্যামাইকা হাসপাতালে।
সেখান থেকে লং আইল্যান্ড জুইস (এলআইজে) হাসপাতালে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল, শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। খবরটি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ বিয়ানীবাজার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি মস্তফা কামাল। এদিকে গত ১৮ এপ্রিল রোববার বাদ জোহর সামিয়ার নামাজে জানাজা ওজনপার্কের বায়তুল আমান জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরদিন সোমবার (১৯ এপ্রিল) তার মরদেহ লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালের মুসলিম কবর স্থানে দাফন করা হয় বলে মস্তফা কামাল জানান। অপরদিকে একই পরিবারের একাধিক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হলে সে ক্ষেত্রে পরিবারের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন এবং স্বাস্থবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশী-আমেরিকান বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ ও ডা. মোহাম্মদ আলম।