জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচন-২০২২ প্যানেল গঠন নিয়ে জল্পনা-কল্পনা
নিউইয়র্ক (ইউএনএ): উত্তর আমেরিকার বৃহত্তর আঞ্চলিক সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনক-এর কার্যকরী কমিটি ২০২২-২০২৪-এর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল মোতাবেক এসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নিউইয়র্ক, নিউজার্সী, কানেকটিকাট ও পেনসিলভানিয়া রাজ্যের ১০ হাজারের অধিক সদস্য এই নির্বাচনে ভোটার বলে জানা গেছে। এদিকে তফসিল ঘোষণার পর শুরু হয়েছে প্যানেল গঠনের জল্পনা-কল্পনা। খবর ইউএনএ’র।
জানা গেছে, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচন ঘিরে সাবেক সভাপতি বদরুল হোসেন খান ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের নেতৃত্বে ‘বদরুল-মইনুল’ প্যানেল হচ্ছে এমন কথা কমিউনিটিতে আলোচিত হলেও আরো একটি প্যানেলের কথা শুনা যাচ্ছে। কেননা, সম্ভাব্য ‘বদরুল-মইনুল’ প্যানেলের পক্ষ থেকে সভাপতি পদপ্রার্থী বদরুল হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাক পদপ্রার্থী মইনুল ইসলাম সহ অন্যান্য প্রার্থীর উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্রের প্যাকেজ ক্রয় করলেও একক প্রার্থী হিসেবে একাধিক ব্যক্তিবর্গ তাদের নিজ নিজ মনোনয়নপত্র ক্রয় করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন- শাহ মিজান, আবুল ফজল লিটন, দরুদ মিয়া রনেল, সাইকুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ। সভাপতি পদে মাসুদুল হক ছানু, আবুল ফজল লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দরুদ মিয়া রনেল ও সাইকুল ইসলাম নিজ নিজ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং তারা ‘বদরুল-মইনুল’ প্যানেলে বিরুদ্ধে পাল্টা প্যানেল অথবা ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।
তবে জালালাবাদ এসোসিয়েশনের নির্বাচনে ‘বদরুল-মইনুল’ একটি শক্ত প্যানেল হচ্ছে এটা অনেকেই নিশ্চিত করেছেন। এই প্যানেলে পক্ষে বড় একটি অংশ কাজ করছে ও সমর্থন জানাচ্ছে। প্যানেলটির পক্ষ থেকে ১০/১২ হাজার ভোটার করা হয়েছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে। ফলে ব্যাংক ভোট নিয়ে ‘বদরুল-মইনুল’ খোশ মেজাজেই রয়েছেন। এদিকে গত ৩ এপ্রিল আয়োজিত এসোসিয়েশনের ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মইনুল ইসলামের পক্ষ থেকে অতিথিদের মাঝে একটি করে জায়নামাজ উপহার দেয়ার বিষয় কমিউনিটিতে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। এই উপহারকে অনেকে ‘বদরুল-মইনুল’ প্যানেলের পক্ষ থেকে মইনুল ইসলামের ‘নির্বাচনী উপহার’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
নির্বাচনের ব্যাপারে বিয়ানীবাজার সমিতি ইউএসএ’র সাবেক সভাপতি মাসুদুল হক ছানু বলেছেন, জালালাবাদ ভবন ক্রয়ের প্রত্যয়ে তিনি এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়তে চাচ্ছেন। দরুদ মিয়া রনেল বলেন, আমি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি এটা শতভাগ সত্যি। কেননা, আমরা জেনেশুনে আমাদের প্রিয় সংগঠনের সুনাম নষ্ট করতে পারি না। সংগঠনে এক নায়কতন্ত্র চলতে দেয়া যায় না। সাইকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন করবো বলেই মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছি। আমরা পরিবর্তন চাই, সংগঠনকে কোন ব্যক্তির কাছে জিম্মি করতে চাই না। তিনি বলেন, সব কিছু ঠিকা থাকলে নির্বাচন ঘিরে চমক দেখাবো।
অপরদিকে তফশিলের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গত ৩ এপ্রিল, রোববার বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত উডসাইডের গুলশান ট্যারেসে নির্বাচনী প্যাকেজ বিতরণ করা হয়। এই প্যাকেজে ভোটার তালিকা, প্রার্থী ফরম, প্রার্থীতা প্রত্যাহার ফরম, এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অন্তর্ভুক্ত ছিলো। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহীরা নগদ ১৫০ ডলারের বিনিময়ে এই ফর্ম সংগ্রহ করেন। এদিন কার্যকরী পরিষদের ১৯ পদে ৩৭টি মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়। এতে সংগঠনের আয় হয়েছে ৫,৫৫০ ডলার। উল্লেখ্য, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন বাংলাদেশ সোসাইটি ও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম। কমিশনের সদস্যরা হলেন- মোশাররফ হোসেন, সাব্বির হোসেন, আহমেদ এ হাকিম ও মিনহাজ আহমেদ।