বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভ্রমণের শর্ত শিথিল

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে ভারত ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাগবে না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র। ভারত থেকে ফেরার পর করোনা টিকার দুই ডোজ গ্রহণকারী পাসপোর্টধারীদের আর ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।

তবে ভারত থেকে ফেরার পর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ সুবিধা নিতে যাত্রীদের সঙ্গে রাখতে হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের সনদ এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর থেকে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ। তবে দ্বিতীয় ডোজ না নেওয়া যাত্রীদের থাকতে হবে হোটেল কোয়ারেন্টিনে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বেশ খুশি যাত্রীরা। জানা যায়, দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি অবনতি হলে ভারতফেরত যাত্রীদের গত ২৬ এপ্রিল থেকে বেনাপোলে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে শুরু হয়েছিল ব্যক্তিগত খরচে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন। এতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে হাতে খরচের টাকা না থাকায় অনেকে সমস্যায় পড়ে। এছাড়া গুরুতর জটিল রোগে আক্রান্তরা হোটেল আর হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে অসহায় হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে টিকা গ্রহণকারী আর করোনা নেগেটিভ যাত্রীদের দাবি ছিল হোম কোয়ারেন্টিন। তবে প্রথম থেকেই ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ছিল না কোনো কোয়ারেন্টিন নিয়ম।

ভারতফেরত পাসপোর্টধারী যাত্রী মাহাফুজুর রহমান জানান, ভারতে যাওয়ার আগে তিনি টিকার ডবল ডোজ গ্রহণ করেছিলেন। এখন ফিরে হোম কোয়ারেন্টিনের সুযোগ পেয়েছেন। ভারতগামী যাত্রী আলামিন জানান, ভারতে যেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র এনেছিলেন; কিন্তু তা লাগেনি। ছাড়পত্র ম্যানেজ করতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এ নিয়মে এখন তারা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।

শার্শা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেয়ে তারা রোববার থেকে কার্যকর করেছেন। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবিব জানান, রোববার ভারত থেকে ফিরেছেন মেডিকেল ভিসার ৯০ জন যাত্রী। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ১১ জনকে এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ৭৯ জনকে। টু্যরিস্ট ভিসায় যাতায়াত আপাতত বন্ধ রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে বন্দরে কাজ করছেন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগ। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.