‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মাসিক ফি ইচ্ছামতো নেওয়া যাবে না’

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট মাসিক ফি সংযোগ ফি সরকার নির্ধারিত মূল্যেই নিতে হবে, নিজেদের ইচ্ছামতো নেওয়া যাবে না বলে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি হুশিয়ারি দিয়েছেন বিটিআরসি মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।

তিনি বলেন, গ্রাম থেকে শহর, সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের মাসিক ফি, বেসরকারি নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন সেবাদাতা (এনটিটিএন) এবং ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ট্যারিফ বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাই আইএসপিগুলো আর তাদের মত করে দাম নিতে পারবে না।

রোববার ভার্চুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত এই গণশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন। দেশে ‘এক রেটে’ ইন্টারনেট সেবামূল্য (ট্যারিফ) নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে কম দামে ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। এই নতুন দাম আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।

আইএসপির দাম তিনটি স্ল্যাবে (৫ এমবিপিএস ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস ৮০০ এবং ২০ এমবিপিএস এক হাজার ২০০ টাকা) বেঁধে দেওয়া হয়। এর আগেও এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সেবামূল্য ছিল। কিন্তু তা কখনই সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা একটা দাম নির্ধারণ করে তা গ্রাহকের সামনে উপস্থাপন করত।

রোববার বিটিআরসির গণশুনানিতে ইন্টারনেট সেবার নানা প্রসঙ্গ ওঠে আসে। আইএসপি সিন্ডিকেটের কারণে গ্রাহকরা নিজেদের ইচ্ছামতো আইএসপি সেবা নিতে পারে না। এসময় বিটিআরসির পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়, কোনো এলাকায় কোনো আইএসপির অন্য সেবাদাতাকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার গণশুনানিতে মোবাইল অপারেটরগুলোর সেবা, নেটওয়ার্ক সমস্যা, ইন্টারনেটে ধীরগতি, অতিরিক্ত টাকা কেটে নেওয়া, কলড্রপ, এমএনপি সেবায় ভোগান্তি ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মূল্য নিয়েই ঘুরেফিরে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।

এর আগে ২০১৬ ও ২০১৯ সালের গণশুনানিতেও প্রায় একই অভিযোগ এসেছিল। রোববার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুপুর ২টা থেকে প্রায় তিন ঘন্টার এই গণশুনানিতে নানা প্রশ্ন ও অভিযোগ শুনে গণশুনানি কমিটির সভাপতি বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।

তিনি বলেন, আমরা অনেক ধরনের অভিযোগের কথা শুনলাম। কিছু অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়েছে। আমরা সব সময় সেবার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। খুব বেশি কথা বলতে চাই না, সব তথ্য নিয়েই সব বিষয়ে কথা বলব। আমরা চাই ভুলগুলো ধরিয়ে দিন আমরা সেগুলো সমাধান করব। এবার গণশুনানিতে ২৬টি বেশির প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়। এতে অংশ নিতে ইচ্ছুকরা আগে থেকেই অনলাইনে নিবন্ধিত ছিলেন।

গণশুনানিতে মালেক নামে একজন অভিযোগ করে বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগে এলাকায় এলাকায় পেশিশক্তি দেখানো হচ্ছে। ইচ্ছামত যে কারো লাইন নেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া আইএসপিগুলো তাদের ইচ্ছেমত দাম রাখছে। সোহাগ কায়সার নামে একজন নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের এমএনপি সেবা নিয়ে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে গেলেও কয়েকদিন পর নেটওয়ার্ক চেইঞ্জ হয়, এতে ভোগান্তিতে পড়েছিলাম।

বিটিআরসি মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ আরও বলেন, অপারেটর বদলে একটি নিদিষ্ট সময় পরে নেটওয়ার্ক পরিবর্তন হয়। তাও এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে গ্রাহকদের অসুবিধা হচ্ছে কিনা।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.