দেশের প্রথম অত্যাধুনিক বিভাগীয় সদর দপ্তর

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : আগামীকাল রোববার উদ্বোধন হতে চলেছে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর। অত্যাধুনিক দশ তলাবিশিষ্ট এ ভবনে এক ছাদের নিচেই বিভাগীয় প্রশাসনের সব সেবা মিলবে বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, বিভাগীয় সদর দপ্তর নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত রংপুর বিভাগের উন্নয়নের অংশ। রংপুরে নির্মিত দেশের এই প্রথম বিভাগীয় দপ্তরের আদলে ভবিষ্যতে অন্য বিভাগগুলোতেও সদর দপ্তর নির্মাণ করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামীকাল রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন ঘিরে সদর দপ্তরে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি রংপুর বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন দেয় সরকার। অনুমোদনের ছয় বছর পর ২০১৬ সালে দশ তলাবিশিষ্ট রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এজন্য তখন ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

একনেকে প্রকল্প পাসের পর ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে গণপূর্ত অধিদপ্তর উত্তম হাজীরহাটে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ১৫ একর জমি নিয়ে রংপুর বিভাগীয় সদর দপ্তর নির্মাণের কাজ শুরু করে। প্রকল্পের মেয়াদকালেই ২০২১ সালের জুন মাসে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

সদর দপ্তরে দশতলা ভবনের পাশাপাশি ৭২০ আসনের দুই তলাবিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস হলরুমও রয়েছে। এ ছাড়া দশতলা ভবনে রয়েছে লাইব্রেরি, আর্কাইভ, মিটিং রুম, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, ক্যান্টিন, ক্যাফে কর্নার, রান্নাঘর, সিকিউরিটি রুম, এসিল্যান্ড অফিস, ট্রেনিং রুম ও ক্লাসরুম। যাতায়াত ও অগ্নিনির্বাপণের সুব্যবস্থাও রয়েছে এ ভবনে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশোধিত ব্যয় ধরা হয় ৯২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ে ভবন নির্মাণের পর বেঁচে যাওয়া আড়াই কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয় গণপূর্ত অধিদপ্তর।

গণপূর্ত অধিদপ্তর রংপুরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল গোফফার বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অত্যাধুনিক এ ভবন নির্মাণ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করার পর বিভাগীয় প্রশাসনের কাজ আরও ত্বরান্বিত হবে। রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, এখানে ভবনের পাশাপাশি বিভাগীয় কমিশনার ও ডিআইজির বাসভবন, বিভাগীয় সদর দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কোয়ার্টার, টেনিস গ্রাউন্ড, মসজিদসহ আরও কিছু ভবন তৈরি করা হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.