দুর্ভিক্ষের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পেরেছি

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের কোনো আমলেই দেশের কোথাও মঙ্গা দেখা দেয়নি। আমরা দুর্ভিক্ষের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পেরেছি।

রোববার বিকেলে জাতীয় সংসদে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যে অঞ্চলগুলো মঙ্গাপীড়িত ছিল, গাইবান্ধা তার মধ্যে একটি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে- আমরা যখন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ ক্ষমতায় ছিলাম, তখনও সেখানে মঙ্গা হয়নি। আমরা মঙ্গা দূর করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এরপর ২০০৯ থেকে এই পর্যন্ত কখনও মঙ্গা দেখা দেয়নি। দুর্ভিক্ষের হাত থেকে আমরা মানুষকে মুক্ত করতে পেরেছি। ওই এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট কাজ আমরা করেছি। নদীভাঙন রোধে ব্যাপক পদক্ষেপও আমরা নিচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করেছি। তবে সেখানে আরও উন্নয়ন দরকার।

গত ২২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালের চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করা যে কোনো রাজনৈতিক নেতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়াত ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া তা অর্জন করতে পেরেছিলেন। শোকের মাসে আমাদের জন্য আরেকটি শোক ডেপুটি স্পিকারের মৃত্যু, যিনি সাত-সাতবার এই পার্লামেন্টে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পদেও ছিলেন।ফজলে রাব্বী মিয়া ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদে যান। পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে তিনি বিরোধীদলীয় হুইপ ছিলেন। দশম সংসদে ডেপুটি স্পিকারের চেয়ারে বসেন এবং একাদশ সংসদেও একই দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ফজলে রাব্বী একজন দক্ষ আইনজীবী ছিলেন। যার ফলে তিনি আইন সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান রাখতেন। আমি তো মনে করি, ডেপুটি স্পিকার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব তিনি পালন করেছিলেন। তাঁর মতো একজন নিবেদিতপ্রাণ, একজন সামাজিক মানুষ- যিনি সমাজের নানা ক্ষেত্রে মানুষের উন্নয়নে অনেক অবদান রেখে গেছেন- তাঁর এই মৃত্যু এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতির।

আলোচনায় আরও অংশ নেন আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মাহাবুব আরা বেগম গিনি, আ স ম ফিরোজ, কামরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ। আলোচনা শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। পরে স্পিকার রেওয়াজ অনুযায়ী সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সংসদের বৈঠক মুলতবি করেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.