মেট্রোরেলের র‌্যাপিড পাস দিয়ে চলা যাবে নগর পরিবহনে

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : এমআরটি’র সঙ্গে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ ২৪ ও ২৫ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আর উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মেট্রোরেলের র‌্যাপিড পাস দিয়ে নগর পরিবহনের সব বাসে যাত্রীরা চলাচল করতে পারবে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাদসিক প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদেরকে সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ও উত্তরের মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মেট্রোরেলে যাত্রীরা যাতে একই র‌্যাপিড পাস দিয়ে নগর পরিবহনে যাতায়াত করতে পারেন এমন সিদ্ধান্তই হয়েছে। একটি কার্ডেই নগরবাসী মেট্রোরেল ও ঢাকা নগর পরিবহনে চলতে পারবেন। তিনি বলেন, মেট্রোরেলের যাত্রীদের সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারা যেন বাস থেকে নেমে মেট্রোরেলে উঠতে পারেন এবং মেট্রোরেল থেকে নেমে বাস ব্যবহার করতে পারেন। সেটা বিবেচনা করেই নতুন এই দুই রুট চালু করা হবে। এই দুই রুটে প্রাথমিকভাবে ৫০টি বাস চলবে।

ঢাদসিক মেয়র তাপস বলেন, এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটি’র সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নতুন দুটি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সেই প্রেক্ষিতে নতুন দুটি যাত্রাপথের ব্যাপারে সভায় আমরা বিশদ আলোচনা-পর্যালোচনা করেছি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাদসিক মেয়র বলেন, টিকিট না কেটে বাসে ওঠার একটা প্রবণতা আমরা লক্ষ্য করছি। সেটা কোনভাবেই ঢাকা নগর পরিবহনে বরদাশত করা হবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে। ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছে, তাদেরকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো তারা যেন গাড়ি চালকের উপর নির্ভরশীল না হয়ে টিকিট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে উঠেন। সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদেরকে সেবা দেবে। সেটা সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি।

নগর পরিবহনে যাত্রী সেবার মান অক্ষুন্ন রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলাপ করেছি। বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্স সিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেবো। সেজন্য তাদেরকে ১৫ দিন সময় দিবো। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করব। বিআরটিসি যদি রাজি হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করব।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.