স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেধা কাজে লাগান

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : নবীন বিসিএস কর্মকর্তাদের ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা মিলনায়তনে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৪তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপন অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি চাই নতুন কর্মকর্তারা দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে তাদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাবেন। গত ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নবীন কর্মকর্তাদের পরিবর্তনের এই ধারা বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট দেশ হিসাবে গড়ে তুলতে আজকের অফিসাররাই হবে আগামী দিনের সৈনিক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের প্রণীত ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের কাজ করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে দেশকে রক্ষায় এটির বাস্তবায়ন শুরু করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ একসময় বিভিন্ন দেশের কাছে অবহেলিত ছিল। আমাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বমঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।’

কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা ও পালটা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সবকিছুর দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। যুদ্ধ কখন থামবে, তা নিশ্চিত নয়।’

উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিকূল অবস্থা মোকাবিলা করতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

নবীন কর্মকর্তাদের রাষ্ট্র পরিচালনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুসরণ করার আহ্বান জানান তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য সামনে নিয়েই আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে। তিনি (বঙ্গবন্ধু) নিজেকে জনগণের সেবক মনে করতেন। কিন্তু অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ক্ষমতায় এসে সব ধ্বংস করে দেয়।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘সামরিক শাসকরা ক্ষমতা দখল করলে দুর্নীতি বেশি হয়। কারণ, জনগণের কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমরা কাজ করছি জনকল্যাণে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা শুদ্ধাচার নীতি নিয়েছি। দেশের সমৃদ্ধি ও সুশাসনই আমাদের লক্ষ্য।’

মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়ার উদ্যোগের অংশ হিসাবে তিনি বলেন, ‘সরকার প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ঘর দেওয়ার জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সারা দেশে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন যেন না থাকে, সেজন্য সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণকেন্দ্রের (বিপিএটিসি) রেক্টর মো. আশরাফ উদ্দিন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.