নেপাল থেকে ২ মাসের মধ্যে আসবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভারতের পর এবার নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো আমদানিকৃত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আগামী ২ মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে। এ ছাড়া আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে।

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-নেপাল যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ৫ম সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার পটুয়াখালীর পায়রায় ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রশাসনিক ভবনে দু’দেশের সচিব পর্যায়ের এই সভার আয়োজন করা হয়। এর আগেরদিন সোমবার একই স্থানে যুগ্ম সচিব পর্যায়ের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এবং নেপালের পক্ষে বিদ্যুৎ, পানি সম্পদ ও সেচ সচিব দীনেশ কুমার ঘিমির নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। নভেম্বরে নেপালে কমিটির ৬ষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, সভায় দু’দেশের বিদ্যুৎ খাতে অধিকতর সহযোগিতার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-নেপাল একমত পোষণ করেছে। সভায় উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- আগামী ২ মাসের মধ্যে নেপাল থেকে ভারতের বহরমপুর এবং বাংলাদেশের ভেড়ামারা গ্রিডের মাধ্যমে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া নেপালে বাস্তবায়িতব্য ভারতের জিএমআর গ্রুপের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে খুব শিগগিরই চুক্তি সই হবে।

সূত্রমতে, নেপাল এবং বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগে নেপালে ৬৮৩ মেগাওয়াট সানকোশি-৩ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব পায়। ওই কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে দুই দেশ একমত হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হওয়ার বিষয়ে দু’দেশ সম্মতি দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, নেপাল থেকে যে জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে তার দর এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে দর নির্ধারণ করে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি সই হবে। তবে দাম তুলনামূলক কম পড়বে। নেপালের সাথে সরাসরি সীমান্ত না থাকায় দেশটি থেকে বাংলাদেশে এই বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতীয় সঞ্চালন লাইন ব্যবহারের জন্য তাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ দিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে।

এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে খুলনায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির ২১তম সভায় নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে ভারত সম্মতি দেয়। এ ব্যাপারে ত্রিদেশীয় একটি চুক্তির বিষয়েও দু’দেশ একমত পোষণ করে। তবে এজন্য ভারতের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে বাংলাদেশের করিডোর ব্যবহারের সুবিধা দিতে হবে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.