স্থিতিশীলতায় জোর : ঢাকাকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী মনে করে দিল্লি

0

বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা ঢাকাকে দিল্লির ‘বিশ্বস্ত প্রতিবেশী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠকে তিনি একথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব।

দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব গেøাবাল সাউথ এবং জি-২০ ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অংশ নেয়ায় ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে ভারতের নেতৃত্বের প্রতিশ্রæতির কথাও জানান কোয়াত্রা। বৈঠকে দুই দেশের অধিক সমৃদ্ধির জন্য সহায়তা গভীর করার ওপর জোর দেয়া হয়। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৈঠকে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তি ও অন্যান্য নদীর পানি বন্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। এছাড়া বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের বাধাহীন সরবরাহের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশে ভিসা দ্রুততার সঙ্গে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের সহায়তা চান।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্ত ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে সম্পর্ক এবং উন্নয়ন সহযোগিতার মতো বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) উভয় পক্ষই উপআঞ্চলিক, আঞ্চলিক এবং বহুপক্ষীয় বিষয়ে মতবিনিময় করেছে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এবং ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে এই আলোচনা হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স¤প্রতি অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং ভয়েস অফ গেøাবাল সাউথ সামিটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করেছে ভারত। দুই দেশের এফওসি পরবর্তীতে পারস্পরিক সুবিধাজনক তারিখে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। এ বছরের দ্বিতীয় এফওসি ছিল প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায়।

এদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরো গভীর করার ওপর জোর দিয়েছে দুই পক্ষ। আলোচনায় দুই পররাষ্ট্র সচিবই বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাস্তব ফলাফল প্রতিফলিত করে। দুই পররাষ্ট্র সচিব উন্নয়ন, ব্যবসাবাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগ, আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড সংযোগ, নিরাপত্তা ও পানি সংক্রান্ত সমস্যা, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক বিষয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেন। এর মধ্যে রয়েছে, তিস্তা চুক্তি এবং অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তি, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.