প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবী; অপহরণ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবী; অপহরণ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২ । শনিবার ১০ এপ্রিল স্পেশাল কোম্পানীর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার ও (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ এর নেতৃত্বে র‌্যাব-১২ এর স্পেশাল কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দলের গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে ভিকটিম শ্রী রাম চন্দ্র সাহা (৩২) পিতা : শ্রী নিরঞ্জান চন্দ্র সাহা, সাং- কদমতলী (দরিপাড়া) ইউনিয়ন- নেপালতলী, থানা-গাবতলী, জেলা-বগুড়া কে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেন র‌্যাব-১২। অপহরণ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ও তাহাদের নিকট থেকে ১ টি সিএনজি, ২ টি মোবাইল, ১ টি নিয়োগপত্র এবং ০১ টি ব্যাংক চেক বহি জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন : ১। মোঃ আফছার আলী(৫২) সাং-দুলরাখালী পেরির মোড়, থানা-বেলকুচি, ২। মোছাঃ শারমিন খাতুন(২১), পিতা-মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাং-খোকসাবাড়ী, প্রামানিকপাড়া, থানা-সিরাজগঞ্জ, ৩। মোছাঃ মরিয়ম বেগম (৪৮),স্বামী-মোঃ সাইফুল ইসলাম, সাং-খোকসাবাড়ী, প্রামানিকপাড়া, থানা-সিরাজগঞ্জ সদর সর্ব জেলা-সিরাজগঞ্জ।

গত ৭ এপ্রিল ২০২১ তারিখে শ্রী রাম চন্দ্র সাহা(৩২), পিতা- নিরঞ্জন চন্দ্র শাহা,সাং-কদমতলী (দড়িপাড়া),ইউনিয়ন-কদমতলী, থানা-গাবতলী, জেলা-বগুড়াকে খোঁজাখুজি করে পাওয়া যাইতেছে না, পরবর্তীতে তার পরিবারের সদস্যরা বগুড়া জেলার গাবতলী থানায় সাধারন ডায়রী করেন এবং র‌্যাব-১২ এর কাছে উদ্ধারের ব্যাপারে সহায়তা চান।

র‌্যাব-১২ এর অধিনায়কের নিদের্শনায় তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১২ এর মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ জানান যে, ‘‘সোসিও ইকোনমিক ব্যাংকিং এসোসিয়েশন(সেবা)‘‘বগুড়া শাখায় কর্মরত মোছাঃ শারমিন খাতুন(২১) বগুড়ায় চাকুরীর সুবাদে বগুড়ার ব্যবসায়ী রাম চন্দ্র শাহা (ভিকটিম) এর সাথে প্রতারণার অংশ হিসেবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন সময় ভিকটিমের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে থাকেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে তার পাওনা টাকা ফেরত ও একান্ত সাক্ষাতের জন্য সিরাজগঞ্জ আসতে বলেন।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম সিরাজগঞ্জে আসলে আসামী শারমিন বেলকুচিতে তার অপহরণ চক্রের সদস্যদের কাছে নিয়ে যান। পরবর্তীতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেলকুচি থানার চরনবিপুর গ্রামস্থ নামক স্থানে গেলে তারা ভিকটিমের হাত পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ভিকটিম রামচন্দ্রশাহার স্ত্রীর মোবাইল নাম্বারে ফোন করে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। ধারনা করা হচ্ছে এই চক্রটি দির্ঘদিন যাবত মানুষকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে মুক্তিপণ আদায় করছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে বেলকুচি থানায় হস্তারের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.