বান্দরবানে যেভাবে চলছে লকডাউন

0

রিমন পালিত : বান্দরবান প্রতিনিধি: সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানেও পালিত হচ্ছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। শহরে দূর পাল্লার পরিবহণ আসা যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে হাট-বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিত রয়েছে। কঠোর লকডাউনেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। যার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো অনেকটায় উদাসীন পার্বত্য এই জনপদের মানুষগুলো।

এদিকে লকডাউন কার্যকর এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করে যাচ্ছে। এই ভ্রাম্যমাণ আদালত অনুমোদিত দোকান খোলা রাখা, এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং যত্রতত্র ঘুরাফেরা করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত, হ্যান্ড মাইকে জনসচেতনতা মূলক প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে প্রশাসনের অফিসারদের।

অপরদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে অপ্রয়োজনীয় চলাচলকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বালাঘাটা স্বর্ণমন্দির ব্রীজ, বাসষ্ট্যান্ড, মেম্বারপাড়া জজকোর্ট এলাকা, হাফেজঘোণা পোস্টঅফিস মোড়, নিউগুলশান মোড় এবং ট্রাফিক মোড়ে অসংখ্য মোটর সাইকেল আটকিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সরকারের সুনিদিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। কারা জরুরী প্রয়োজনে গাড়ি ব্যবহার করতে পারবে। সরকারের নির্দেশনা মেনে লকডাউন কার্যকরে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, লকডাউনে বান্দরবানে নমুনা দিতে আসা রোগীদের সংখ্যা কমেছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত এক সপ্তাহে নেই বললেই চলে। বর্তমানে সদর হাসপাতালে ২ জন, নাইক্ষ্যংছড়িতে ২ জন এবং লামায় ১ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তবে করোনা রোগীদের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে ৩০টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। সদর হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ১১২টি বেডে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কোনো আইসিও ব্যবস্থা নেই। হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী নার্সিং কলেজে খোলা হয়েছে করোনা ইউনিট। সেখানে ইতিমধ্যে ২৫টি বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও ৫৫টি বেড প্রস্তুতির কাজ চলমান রয়েছে। ডা. প্রত্যুষ পাল এর নেতৃত্বে ৫ জন চিকিৎসক রয়েছে করোনা ইউনিটে। এ পর্যন্ত বান্দরবান করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৫২ জন। গত বছর মারা গেছে ৪ জন করোনায়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.