সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণ ও জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ, অতঃ পর র‌্যাবের হাতে অপহরণ চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপহরণ ও জোরপূর্বক বাল্যবিবাহ; অতঃ পর র‌্যাবের হাতে অপহরণ চক্রের ২ সদস্য গ্রেফতার। র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, জুয়ারি, মাদক ব্যবসায়ী, খুন, ধর্ষণ এবং অপহরণসহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতারে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে।

গত ১২ মে ২০২১ তারিখে দিবাগত রাত ১.৩০ ঘটিকায় মোসাঃ জোতি খাতুন(১২), পিতা মোঃ জাহাংগীর আলম,সাং-কুন্দইল, থানা-তাড়াশ, জেলা- সিরাজগঞ্জ প্রকৃতিক ডাকে নিজ বাড়ির বাহিরের টয়লেটে যাবার সময়, আসামী মোঃ জনি(২২), পিতা মোঃ কাফি ফকির, সাং-ঈশ^রপুর, থানা- তাড়াশ, জেলা-সিরাজগঞ্জ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে কয়েক জন বন্ধুর সহয়তায় মোসাঃ জোতি খাতুন(১২) কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে মেয়েটির পরিবার অনেক খোজা খুজির পর ১৬/০৫/২০২১ তারিখে তাড়াশ থানায় সাধারণ ডায়েরী করে এবং র‌্যাব-১২ এর কাছে অপহরণের অভিযোগ করে, উক্ত ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।

অপহরণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ মশিউর রহমান, পিএসসি এবং এ্যাডজুটেন্ট এবং অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান নেতৃত্বে র‌্যাব-১২ এর বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ১৭/০৫/২০২১ তারিখ রাতের প্রথম প্রহর ১.৩০ ঘটিকায় আসামীর নিজ বাড়ী থেকে ভিকটিম(মোসাঃ জোতি খাতুন(১২) কে উদ্ধার সহ অপহরণ চক্রের ০২ জন সদস্য কে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং জন্ম তারিখ পরির্বতন করে অসাধু উপায়ে কাজি (মোঃ আতিক, সাং- মসিন্দা মাঝপাড়া, থানা- গুরুদাসপুর, জেলা- নাটোর) এর সহযোগীতায় মেয়েটিকে বিবাহ করে। উল্লেখ্য যে মেয়েটির বয়স জন্ম সনদ অনুযায়ী-০৫/০৬/২০০৯ তারিখ অপরদিকে বিবাহের হলফনামা অনুযায়ী- ০৫/০৬/২০০২ তারিখ যাহা একটি বাল্য বিবাহ। গ্রেফতারকৃত আসামী ১। মোঃ জনি(২২), পিতা- মোঃ কাফি ফকির, ২। মোঃ কাফি ফকির, পিতা মৃত-নবীর উদ্দীন, উভয় সাং- ঈশ্বরপুর থানা- তাড়াশ, জেলা- সিরাজগঞ্জ। গ্রেফতারকৃত আসামীদের সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.