আদিবাসী নারী ধর্ষণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

0

নজরুল শাহ্ , টাংগাইল প্রতিনিধি : টাংগাইলের সখিপুরে আদিবাসী ধর্ষনের ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল সোমবার রাতে আদিবাসী ধর্ষন চেষ্টায় জড়িত দুই জনকে মির্জাপুর এবং সখীপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে টাংগাইল ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সখীপুর উপজেলার হাতিবান্ধা ইউনিয়নের বাজাইল বড়চালা গ্রামের টেংগু সরকারের ছেলে দিনা সরকার (৩০), নারায়ন চন্দ্র সরকারের ছেলে মন্টু সরকার (৩২)।

আজ ১৫জুন মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় পলাতক সবদুল মিয়াকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আগামীকাল বুধবার টাঙ্গাইল আদালতে তোলা হবে। এদিকে আদিবাসী ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ১৫জুন সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কোচ আদিবাসী ইউনিয়নের যুগ্ম-আহ্বায়ক রতন কুমার রায়, বিশ্বজিৎ কোচ, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি জন যেত্রা ও অনন্যা রায় প্রমুখ।

মানবন্ধনে বক্তারা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের দাবি করেন। এবং এমন মধ্যযুগীয় জগন্যতম ঘটনা স্বাধীন দেশে কখনও কাম্য নয় বলে উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, গত ১১ জুন রাত পৌনে একটার দিকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এক নারী(৪০) -কে বাড়ির পশ্চিম পার্শ্বে জঙ্গলে নিয়ে দিনা সরকার,মন্টু সরকার এবং সবদুল মিয়া মদ্যপ অবস্হায় ধর্ষন এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়িয়ে গুরুতর আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে প্রথমে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৩ জুন ওই নারী বাদি হয়ে থানায় ৩ জনেক আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে ওই নারী টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.