একসাথে ২৬ জনের বিদায়; সাজানো গাড়িতে গেলেন বাড়ি

0

পাবনা প্রতিনিধি : একদিন কোনো এক সকালে, পুলিশ লাইন মাঠে মাপজোক, ওজন, লাফঝাফ, ঘাড় গুজে লিখিত পরীক্ষায় পাশ করে খাকি পোশাক গায়ে জড়িয়ে দূরন্ত কৈশোরকে পেছনে ফেলে হয়েছিলেন পুলিশ সদস্য। তারপর এক পদে টানা ৪০টি বছর রাতদিন কাজ করে গেছেন। এক জেলায় স্ত্রী, সন্তান রেখে দিনরাত কেটেছে অন্য জেলায়। অনেক ঈদও করা হয়নি পরিবারের সাথে। আজ সমাপ্তি ঘটেছে তাদের চাকুরী জীবনের। বিদায় সংবর্ধনা আর শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দিয়ে সাজানো গাড়িতে করে তাদের পাঠানো হলো বাড়িতে। বিদায় বেলায় আবেগ আপ্লুত সবাই।

পাবনা জেলা পুলিশে কর্মরত অবস্থায় অবসরে যাওয়া ৩ জন এএসআই ও ২৩ জন কনস্টেবলকে চাকুরী জীবন শেষে একসাথে বিদায় জানানো হয়েছে। সোমবার জেলা পুলিশ লাইন্সের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এএসআই আব্দুল জলিল মিলনায়তনে তাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে তৈরী হয় আবেগঘন পরিবেশের।

অনাড়ম্বরপূর্ন অনুষ্ঠানের সভাপতি পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের হাতে সম্মাননা ও শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, স্নিগ্ধ আখতার, জিন্নাহ আল মামুন, রোকনুজ্জামান সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, আপনাদের নি:স্বার্থ দেশসেবা দানের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ আপনাদের নিকট ঋণী। ৪০ বছর আপনারা অনুকুল-প্রতিকুল পরিস্থিতির মাঝে ব্যক্তিগত স্বার্থ উপেক্ষা করে পুরো বিভাগকে, দেশকে নিজের সর্বস্ব উজার করে, চরম ত্যাগ শিকার করে যে সেবা দিয়ে গেলেন। তা ছিল বিস্ময়কর, অনন্য এবং অসাধারণ। আপনাদের যেকোনো সমস্যায় বাংলাদেশ পুলিশ পাশে থাকবে।

অনুষ্ঠানে অবসরে যাওয়া এএসআই ওমন আলী (সশস্ত্র) বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে চার দশক চাকুরি করে দেশ মাতৃকার সেবা করতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। আমাদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার স্যারকে অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে আমাদেরকে প্রয়োজন হলে আমরা আপনাদের পাশে থাকব।

বিদায় সংবর্ধনা শেষে একসাথে সবাই দুুপরের খাবার খান। পরে ৩ জন এএসআই ও ২৩ জন কনস্টেবলকে জেলা পুলিশের একটি সুসজ্জিত গাড়িতে করে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.