ফেরিওয়ালা মাসুম এর আত্মকথা

0

সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : ফেরি করেই করোনার দিন গুলো পার করছেন মাসুম। তরনীবাড়ী রেলস্টেশনের পাশেই বাড়ি তার, সে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনীবাড়ি গ্রামের বদিয়াজ্জামানের ছেলে, পরিবারে চারজন মানুষ, করোনার লকডাউনে মানুষের আয় রোজগার বন্ধ,যার নুন আন্তে পান্তা ফুরায়, ভীষন কস্টে আছেন, মাসুম, জানান আগে বাসের হেলপার হিসাবে কাজ করছিলাম.লকডাউনে বসে খেয়ে যখন চালডাল টাকা পয়সা সব শেষ.সন্তানের চোখ মুখের দিকে তাকিয়ে উপায় না-পেয়ে এনজিও-র কাছে সুদে টাকা নিয়ে বেচে নিই প্লাস্টিকের মালা মালের ফেরিওয়ালার ব্যবসা।

দেশে ১৮ কোটি মানুষের ভীরে এই কস্টের কথা কার কাছে গিয়ে জানাব। কর্ম করে খাই,এ আমার গর্ব। বাড়ী বাড়ী গিয়ে এই মালা মাল বিক্রী করে যা লাভ হয় তাদিয়ে চলছে সংসার, ভ্যানগাড়ী সহ পুজি প্রায় ৬০ হাজার টাকা। প্রথম প্রথম দিন ঘুড়ে একশ ৫০ টাকা মত বিক্রি হত, কস্ট পেতাম,ভেঙ্গে পরিনি, আল্লার রহমতে এখন দিনে নিম্নে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রী হচ্ছে। আমার দেখে অন্তত ৩০ হতে ৫০ জন ব্যাক্তি ফেরিওয়ালার এ ব্যাবসা শুরু করেছে। সবাই দোয়া করবেন ভালোই চলছে আমার সংসার। ছবি আছে,

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.