ডোমারে পানি বন্দি শতাধিক পরিবার ৩ দিন ধরে চলছে শুকনো খাবার খেয়ে

0

সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী, প্রতিনিধি : কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নিম্নাঞ্চল গুলো প্লাবিত হয়েছে,পানি নিস্কাশন ব্যাবস্থা না থাকায় আরো বিপাকে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় শতাধীক পরিবার। কাটছে মানবেতর জীবন । অনেকেরই রান্না ঘরে উঠেছে পানি। রান্না করতে না পারায় শুকনো খাবার খেয়ে কাটছে অনেকের দিন রাত্রী। শুক্রবার(৩সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় ডোমার পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের কিছু এলাকায় এমন চিত্র।

অনেকে অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার কিছু কিছু ড্রেন ময়লা আবর্জনায় ভরাট হয়ে গেছে। এতে করে পানি নিষ্কাশন হতে পাড়ছে না। থানা পাড়ার ৩নং ওয়ার্ডের পানি বন্দি পরিবারের শাহিনুর রহমান বলেন আকাশের কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে এলাকাটি এই অবস্থা। পানি গতিপথ মুখি জমি উচু হওয়ায় পানি বের হতে পারে না। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো পরিস্কার করলে পানি বের হয়ে যায়। রেহাই পাই আমরা পানি বন্দি পরিবারগুলো। আরো অনেকে বলেন এক সপ্তাহ থেকে পানি বন্দি অবস্থায় আছি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাসেম জানান, এশিয়ান হাইওয়ে রাস্তার কাজ হওয়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার পাশের বাড়ীগুলো পানি বন্দি হয়ে পড়েছি। তিনদিন থেকে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পাড়ার ২৮টি পরিবার আমরা পানিবন্দী অবস্থায় আছি। বাড়ীতে হাটুপানি উঠায় রান্না করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা শুকনা খাবার খেয়ে কোনমতে জীবন যাপন করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিনা শবনমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত পানি বন্দি এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছি। চেয়ারম্যান পাড়ায় যে এলাকাটি পানি বন্দি, সে এলাকাটি নিচু হওয়ায় পানি বের হতে পারছে না। এশিয়ান হাইওয়ে, পূর্ব ও পশ্চিমে এলজিডির রাস্তা। মাঝখানে পাড়াটি হওয়ায় পানি বের হয় না। আমরা তাৎক্ষণিক পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেছি। পানি বন্দি পরিবার গুলোর মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ সমন্বয়ে খুব তাড়াতাড়ি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.