শিশুদের স্বনির্ভর সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে -শিশু পিতা তারেক হোসেন

0

মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণা সরকারী শিশু পরিবারের সকল এতিম শিশুদের ধর্মীয়, আধুনিক ও কারিগরী শিক্ষার সমন্বয়ে স্বনির্ভর সুনাগরিক হিসেবে তুলতে কাজ করছেন, শিশু পিতা তারেক হোসেন। তিনি ২০১৭সালের ১৯জুলাই প্রতিষ্ঠানটিতে উপ-তত্ত্বাবধায়ক পদে যোগদানের পর থেকে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে সার্বিক উন্নয়নে সার্বক্ষনিক কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই তিনি সকল এতিম শিশুদের মনে পিতার আসন দখল করেছেন।

উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক হোসেন জানান, শিশুদের সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে বেড়ে উঠার জন্য পুকুর ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে খেলার মাঠ, শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য নিয়মিত কাউন্সিলিং এর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কাউন্সিলিং সেন্টার। শিশুদের ছোট বেলা থেকেই বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে জানার জন্য স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার। শিশুদের নিয়মিত পত্রিকা পড়া, শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলাপ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অপেক্ষালয়। শিশুদের বিনোদনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আনন্দ চত্বর। শিশুদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে স্থাপন করা হয়েছে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক হোসেন আরোও জানান, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় কাজ করতে হিমসীম খেতে হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটিতে সহকারী তত্ত্বাবধায়কের পদটি শূণ্য, সহকারী শিক্ষকের ২টি পদের মধ্যে ১টি শূণ্য, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরের পদটি শূণ্য, কারিগরী প্রশিক্ষকের ২টি পদ শূণ্য, অফিস সহায়কের ৫টি পদের মধ্যে ১টি শূণ্য রয়েছে। জনবল পেলে প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশের মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন সমাজসেবা অধিদফতরের মাধ্যমে নেত্রকোনায় জেলায় সরকারি ব্যবস্থাপনায় দরিদ্র এতিম শিশুদের লালন পালনের একমাত্র প্রতিষ্ঠান সরকারি শিশু পরিবার (বালক) নেত্রকোনা। দেশব্যাপী পরিচালিত ৮৫টি সরকারি শিশু পরিবারের মধ্যে এটি একটি অন্যতম প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৩ সালে জেলা শহরের নিজামপুর এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০০১ সালে ৫মে সরকারি শিশু পরিবারে রুপান্তরিত হয়ে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের কুমড়ী এলাকায় স্থাপিত হয়। ৩একর জায়গায় মনোরম পরিবেশের এই প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে ১০০জন এতিম শিশু লালিত পালিত হচ্ছে।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আলাল উদ্দিন জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রয়োজনীয় জনবল না থাকা সর্ত্বেও উপ-তত্ত্বাবধায়ক তারেক হোসেন সকল ঘাটতি একাই পূরণ করে শিশূদের পিতার আসন দখল করে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.