মনোহরদীতে উচ্চ শিক্ষিত ১৩ তরুনের সাফ ব্যবসা ‘ইনসাফ’

0

সাইফুর নিশাদ মনোহরদী, নরসিংদী প্রতিনিধি : এক ডজন তরুন ওরা। ঢাকা, চট্রগ্রাম, জাহাঙ্গীর নগর, ডুয়েটসহ  বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স মাষ্টার্স। প্রায় সবাই সরকারী, বেসরকারী চাকুরেও। বেকার অর্ধ বেকারও আছেন কেউ । শৈশবের ক্ষুদ্র ক্ষুূ্দ্র সঞ্চয়ে ‘ইনসাফ’নামের ছোট একটি ব্যবসায় নামলেন ওরা। একেবারে সাফ ব্যবসা। নির্জলা ন্যায়নীতির ভিত্তিতে পরিচালনার শপথ আছে তাদের। ‘ইনসাফ’ সাড়া জাগিয়েছে এলাকায় এবং অনুপ্রেনার উৎস উচ্চ শিক্ষিত তরুনদের।

চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসনে অনার্স মাস্টার্স মাহমুদুল হাসান রাসেল।একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকুরে।রায়হান কবির জিকু একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ, এমবিএ। সিএ করে বিদেশী প্রতিষ্ঠানের চাকুরী করছেন।’ইনসাফ বাজার, ইনসাফ বিরানি, ইনসাফ স্ন্যাকস ও কফি হাউজ’তাদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। মাত্রই শুরু।তাদের সাথে আরো আছেন সৈকত, সামাদ, সেলিম, রাসেল, জাকির,
খোকন, টিটু, তুহিন, কামরুল, হাসান তুহিন, আরিফুলসহ ১৩ জন। জিকু ও রাসেলের সাথে কথা হলো ‘ইনসাফে’ বসে। তারা জানালেন, স্থানীয় ১৩ বন্ধু মিলে ‘শৈশব স্মৃতি সংগঠন’ নাম দিয়ে একটি সংগঠন গড়েন তারা।এতে ৩শ’ টাকা করে মাসিক সঞ্চয় জমাতে জমাতে এক সময় তা মোটামুটি ভালো একটি পরিমানে দাঁড়ায় তাদের।

সেটুকু দিয়ে সম্প্রতি তারা যৌথ ভাবে একটি ব্যবসার উদ্দোগ নিলেন। গড়ে তুললেন ‘ইনসাফ বাজার,ইনসাফ বিরানি, ইনসাফ স্ন্যাকস ও কফি হাউজ’। একে শতভাগ ন্যায় নীতির ভেতর থেকে পরিচালনায় ওয়াদাবদ্ধ বলে জানান তারা।রাসেল, জিকু জানান, একেবারে প্রাথমিকঅবস্থা এখনওব্যবসাটির একে সুপার শপে রুপ দেয়ার পরিকল্পনা আছে তাদের। সম্প্রতি পৌর এলাকায় হোম ডেলিভারীও শুরু করেছেন তারা। মনোহরদী বাজারের ‘এনায়েত প্লাজা’র ভেতর দিয়ে একটু উত্তরে গেলেই দেখা যায় ‘ইনসাফ’৯। ছুটিছাটায় রাসেল ও জিকু বসছেন এখন এখানে। লোকও রাখা আছে। তারা জানান, কোন রকম প্রতারনা প্রবঞ্চনার ধারেকাছেও যাবেন না বলে ১৩ জনের ‘ইনসাফ’ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ন্যায্য ব্যবসার উদাহরন তৈরিতে ভূমিকা রাখতে চায় ‘ইনসাফ’- জানান জিকু ও রাসেল।

উচ্চ শিক্ষিত দ্বীনদার তরুনদের এ উদ্দোগ ইতোমধ্যেই বেশ সাড়া জাগিয়েছে এলাকায়। তাদের উদ্দোগ ও প্রতিজ্ঞা উচ্চ শিক্ষিত তরুনদের জন্য অনুপ্রেরনা ও বার্তা দেবে বলে মনে করছেন অনেকে।মনোহরদীর বড়চাপা কলেজের শিক্ষক দেলোয়ার হেসেন বলেন, উচ্চ শিক্ষিত তরুনদের এ উদ্দোগ একটি সাহসী ও প্রেরনাদায়ক পদক্ষেপ। শিক্ষার্থী ফাতিন রাইয়ান প্রমি বলেন, ‘ইনসাফ’ দেখে তারা ন্যায় ভিত্তিক একটি ব্যবসার প্রেরনা পেয়েছেন। মনোহরদী পৌর মেয়র আমিনুর রশীদ সুজন এ প্রসঙ্গে বলেন, গতানুগতিক ব্যবসার বাইরে উচ্চ শিক্ষিত তরুনদের এ সৎ উদ্দোগকে তিনি স্বাগত জানান। তাদের পথ অনুসরন করে আরো অনেক শিক্ষিত তরুন এগিয়ে আসবে বলে আশা করেন তিনি।

 

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.