পাবিপ্রবিতে উৎসবমুখর পরিবেশে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

0

পাবিপ্রবি প্রতিনিধি: পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ রবিবার উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (১৩তম ব্যাচের) শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নবীনবরণ  উপলক্ষে ক্যাম্পাস ছিল জামজমকপূর্ণ ও বর্ণিলময়। নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ক্যাম্পাস ছিল কোলাহলমুখর। উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন।

সকাল ১০.৩০ মিনিটে স্বাধীনতা চত্বরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। এরপর  জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক অধ্যাপক ড.এসএম মোস্তফা কামাল খান। এ পর্যায়ে নবীণ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য।

 অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান অর্জন, আহরণ এবং জ্ঞান তৈরি করতে হবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটু একটু করে ভালো কাজ করে জমা করতে হবে এবং সেই জমানো ভালো কাজটিই একসময় বড় আকারে জীবনের ব্যাংকে জমা হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি তোমাদের শিল্পসাহিত্য সংস্কৃতি খেলাধুলাসহ অন্যান্য কর্মকান্ডও বাড়াতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ, নিজের বন্ধুবান্ধব সর্বোপরি মানুষকে ভালোবাসতে হবে। ভালোবাসতে না পারলে ভালো কাজ করা যায়না। বিশ্বকে জয় করার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয়।

উপাচার্য আরো বলেন, জীবনে চলার জন্য  শুধু নিজের দিকে না তাকিয়ে অন্যের চলার পথকেও পরিস্কার করতে হবে। তোমরা যেমন অন্যের দেখানো পথে এগিয়ে যাবে তেমনি তোমাদের দেখানো পথে অন্যেরাও এগিয়ে যাবে। তোমাদেরকে আলোকিত পথ বেছে নিতে হবে। অন্ধকার থেকে আলোয়   যেতে হবে, যাতে পিছনের যাত্রীও সামনে যেতে পারে। তোমরা স্বপ্ন দেখবে। অল্পতেই ভেঙ্গে পরোনা। হোঁচট না খেয়ে বড় হওয়া যায় না। মনের জোর, সততা একাগ্রতা নিয়ে এগিয়ে যাবে। শিক্ষকরা তোমাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে। আমাদের নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও এখানকার শিক্ষকরা বিশ্বমানের। আমাদের জ্ঞান বিশ্বের সাথে তুলনীয়। এখন প্রযুক্তির যুগ এটাকে গ্রহণ করে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা এগিয়ে যাব।

উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান বলেন, একুশ শতকের বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতার  জন্য  অন্যতম মাধ্যম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি।  প্রযুক্তির বিকাশের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় নতুন নতুন জ্ঞান তৈরী করছে। গবেষণার নতুন নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি গণতন্ত্র, মুক্ত চিন্তা সর্বোপরি বিশ্ব মানব তৈরী করছি আমরা। চতর্থ শিল্প বিপ্লবের যোগ্য ও সুনাগরিক তৈরী হচ্ছে এখানে। আগামী শতকের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তোমাদের হাত দিয়ে। তারুণ্যের শক্তি দিয়ে  দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এখানকার শিক্ষার্থীরা।
 
আরো বক্তব্য প্রদান করেন বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. খায়রুল আলম, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুল্লাহ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম, প্রক্টর ড. মো. হাসিবুর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. সমীরণ কুমার সাহা। নবীন শিক্ষার্থী  শমী কায়সার ও মুরসালিন হোসেন  এবং অধ্যয়নরত সানজিদা স্মৃতি ও  উৎসব কুমার দাস অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব ছিলেন অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফজলে রাব্বি খান।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মীর হুমায়ূন কবীর এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রওশন ইয়াজদানী। অনুষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.